চাঁদপুরের মাহমুদুল তারকা হওয়ার গল্প

রবিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ | ২:১৫ অপরাহ্ণ

চাঁদপুরের মাহমুদুল তারকা হওয়ার গল্প
apps

 

তার হাতে সেমিফাইনাল থেকে এখন ফাইনালে বাংলাদেশ। সেই মাহমুদুল হাসান জয়ের বাড়ি চাঁদপুর। অনূর্ধ্ব ১৯ যুব বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। আজও তার অনন্য নৈপুণ্যে বাংলাদেশের শেষ হাসি ফুটবে, সেই প্রত্যাশায় জয়ের পরিবারের সদস্যরা।

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম লাড়ুয়া গ্রামের ছেলে মাহমুদুল হাসান জয়। বাবা আব্দুল বারেক ব্যাংকার। মা হাছিনা বেগম গৃহিণী। চার ভাইবোনের মধ্যে জয় তৃতীয়। গ্রামের স্কুলে প্রাথমিক এবং মাধ্যমিকের সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা। তার পর বিকেএসপিতে। এখন উচ্চ মাধ্যমিকের দ্বিতীয় বর্ষে, মানবিক বিভাগে পড়াশোনা চলছে।

মাহমুদুল হাসান জয়ের ক্রিকেটার হওয়ার গল্প শোনালেন, তার বড়ভাই রাশেদুল হাসান জুমন। রাজধানীর বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত তিনি। জয় গ্রামে থাকতেই ক্রিকেটের প্রতি ঝুঁকে পড়ে। স্কুল ছুটি হলেই বন্ধুদের নিয়ে বাড়ির পাশে মাঠে ছুটে যেত। ব্যাট বলের সঙ্গে তখনই তার মিতালী।

পঞ্চম শ্রেণির পাঠ চুকানোর পর বড়ভাই জুমন জয়কে নিয়ে যান, চাঁদপুর ক্ল্যামন ক্রিকেট একাডেমির প্রধান শামীম ফারুকীর কাছে। সেখানেই জয়ের শক্তহাতে ব্যাট ধরার হাতেখড়ি। মাত্র দুবছরের মধ্যেই প্রতিভা ছড়িয়ে পড়ে। এরপরই জয় বিগত ২০১৪ সালে চলে যান বিকেএসপিতে।

বড়ভাই জুমন আরো জানান, এশিয়া কাপ দিয়ে শুরু হয় মাহমুদুল হাসান জয়ের বিশ্ব ভ্রমণ। এখন তার ভাই, অনূর্ধ্ব ১৯ এ খেলে দক্ষিণ আফ্রিকার মাঠ কাঁপাচ্ছে। দেশের মুখ উজ্জ্বল করছে। এতে আমার পরিবারও সম্মানিত হচ্ছে।

জয়ের বাবা আব্দুল বারেক পূবালী ব্যাংক, চাঁদপুর নতুনবাজার শাখায় কর্মরত। ছেলের ব্যাটিং নৈপুণ্যে আমরাও আনন্দিত এবং গর্বিত। মা হাছিনা বেগমও ছেলের মুখ পানে তাকিয়ে আছেন। তাই তো মায়ের দোয়া, জয়ের হাত ধরেই যুব বিশ্বকাপে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হবে।

চাঁদপুরে ফরিদগঞ্জ উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক নুরুন্নবী নোমান জানান, মাহমুদুল হাসান জয়ের মতো প্রতিশ্রুতিশীল এবং প্রতিভাবান ক্রিকেটার তৈরিতে যিনি অনুঘটকের ভূমিকা পালন করেছেন, তিনি হচ্ছেন আমাদের শামীম ফারুকী ভাই। অন্যদিকে, চাঁদপুর ক্লামন ক্রিকেট একাডেমির প্রধান শামীম ফারুকীর জানান, তার কাছে ক্রিকেট খেলায় যারা প্রশিক্ষণ নিতে আসে। তাদের সেই ভাবে ঝালাই এবং যোগ্য করে গড়ে তোলেন। তাই তো এপর্যন্ত এমন একডজন ছেলেকে জাতীয় এবং বিশ্ব পর্যায়ের ক্রিকেটে অবদান রাখার অবস্থান তৈরি করে দিতে পেরেছেন।

Development by: webnewsdesign.com