পচেফস্ট্রুমে ঝলমলে রোদ। স্থির নীল আকাশ। মধ্যে খণ্ড – খণ্ড- সাদা মেঘ। যেন পটে আঁকা ছবি। তার মধ্যে নতুন রঙয়ের ছোঁয়ায় ঝকঝক করছে সেনওয়েজ পার্ক স্টেডিয়াম। মাসকটের সরব উপস্থিতি। ছোটদের হলেও বিশ্বকাপের আবহ তৈরিতে ঘাটতি রাখেনি আয়োজক দণি আফ্রিকা। যদিও অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের দ্বিতীয় এই সেমিফাইনালে ছিল না তেমন দর্শক। তবে টিভি পর্দায় চোখ ছিল অগণিত বাংলাদেশি ভক্তদের। যুবারা ৬ উইকেটের বড় ব্যবধানে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে যুবা বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে। নাম তুলেছে ইতিহাসে। ক্রিকেট পাগল ভক্তরা এই মুহূর্তের সাী হতে ভোলেননি। এর আগে ফেবারিটের মতো ঘরের মাঠে ২০১৬ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ শুরু করেছিলেন মিরাজ-শান্তরা। ওই দলের অনেকে জাতীয় দলে আলো ছড়াচ্ছেন। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ যুবাদের কাছে সেবার হেরে দর্শক হয়ে যাওয়ার আপে যায়নি তাদের। এবার আাগের সেই বাধা ডিঙিয়ে গেল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। জয় করল বিরুদ্ধ কন্ডিশন। স্বাগতিক দণি আফ্রিকার পরে হারালো নিউজিল্যান্ডে মতো দলকে। মাহমুদুল হাসান জয়ের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে প্রথমবারের মতো নিশ্চিত করলো যুবা বিশ্বকাপের ফাইনাল। সেনওয়েজ পার্কের মতোই দ্বিতীয় এই সেমিফাইনালে ছোট টাইগারদের পারফরম্যান্স ছিল গোছালো। কন্ডিশনের কথা মাথায় রেখে টস জিতে বল করার সিদ্ধান্ত নেন যুবা অধিনায়ক আকবর আলী। এরপর বাঁ-হাতি পেসার শরিফুল ইসলাম এবং ডানহাতি স্পিনার শামিম হোসেনের স্পিন তোপে ৮ উইকেটে ২১১ রান তুলে থামে কিউই যুবারা। নিউজিল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৫ রানের ইনিংস খেলেন হোয়েলার গ্রিনাল। এছাড়া নিকোলাস লিন্ডস্টোন করেন ৪৪ রান। জবাব দিতে নেমে নতুন বলে দেখে শুনে শুরু করেন দুই জুনিয়র টাইগার ওপেনার। কিন্তু পারভেজ জয় ১৪ এবং আগের ম্যাচে ৮০ রানের ইনিংস খেলা তানজিদ তামিম ৩ রান করে ফিরে যান। এরপর মিডল অর্ডারে জুটি গড়ায় দায়িত্ব নেন মাহমুদুল হাসান জয় ও তৌহিদ হৃদয়। তারা ৬২ রান যোগ করেন। যুবা দলের হয়ে পাঁচটি সেঞ্চুরি করা হৃদয় ফিরে যান ৪০ রান করে। কিন্তু পথ হারায়নি যুবারা। ইংলিশ ধারাভাষ্যকার উইলকিনস যেমন বলেছিলেন, এই দল রাকিবুল কিংবা তামিম নির্ভর নয়। তারা না পারলে দায়িত্ব নেবেন অন্য কেউ। তার কথায় যেন ফলে গেল। এ ম্যাচে মাহমুদুল জয় খেললেন ১২৭ বলে পুরোপুরি ১০০ রানের ইনিংস। ১৩ চারের মার দেখিয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। দণি আফ্রিকার বিপে দারুণ খেলা শাহাদাত হোসেন তার সঙ্গে দারুণ সঙ্গ দেন। তিনি খেলেন ৫১ বলে ৪০ রানের হার না মানা ইনিংস। জয়ের সঙ্গে যোগ করেন ১০১ রান। তাদের জুটিতে ৪৪.১ ওভারে ল্েয পৌছে যায় বাংলাদেশ। যুবা টাইগারদের হয়ে এ ম্যাচে দুর্দান্ত পেস-বাউন্সের পসরা সাজিয়ে তিন উইকেট তুলে নেন বাঁ-হাতি পেসার শরিফুল ইসলাম। স্পিনার শামিম হোসেন নেন ২ উইকেট। এছাড়া বাঁ-হাতি স্পিনার হাসান মুরাদ ১০ ওভার হাত ঘুরিয়ে ২ উইকেট তুলে নেন। বিশ্বকাপে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা বাঁ-হাতি অফ স্পিনার রাকিবুল নেন একটি উইকেট। বাংলাদেশ আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি টানা তিনবার ফাইনালে ওঠা ভারতের বিপে শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে নামবে। ভারতের বিপে ইংল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ হার, শ্রীলংকায় এশিয়া কাপ হারের শোধ এবার বিশ্বকাপ দিয়ে নেওয়ার সুযোগ জুনিয়র টাইগারদের।
Development by: webnewsdesign.com