বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, শনিবারের সমাবেশ থেকে খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে দেশবাসী ও বিদেশিদের বিশেষ ধরনের মেসেজ দেয়া হবে। শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবে নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরাম আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা জানান। ‘সিটি নির্বাচনের অভিজ্ঞতা বনাম ভোটের অধিকার’ শীর্ষক এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
খালেদা জিয়ার কারাবাসের দুই বছর উপলক্ষে বিএনপির সমাবেশ প্রসঙ্গে আমির খসরু বলেন, আমি আশা করব, আপনারা (বিএনপির নেতাকর্মী) জনসভায় দলে বলে উপস্থিত হবেন। কারণ আন্দোলন তো চলছেই, এখন আন্দোলন নতুন রূপ নেবে। এক্ষেত্রে আমাদের সবাইকে সাহসী ভূমিকা পালন করতে হবে। আমরা দেশনেত্রীকে অবিলম্বে মুক্ত করার বিষয়ে এ জনসভা থেকে দেশবাসী এবং বিদেশিদের বড় মেসেজ দিতে চাই।
তিনি আরও বলেন, আমরা নির্বাচনে গিয়েছি ‘গণতন্ত্রের মাকে (খালেদা জিয়া) মুক্ত করার আন্দোলনের অংশ হিসেবে। এখন সেই আন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্রের মা এবং গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে হবে। মানুষের বাক-স্বাধীনতা এবং মৌলিক অধিকারকে ফিরিয়ে আনতে হবে। সেজন্য বিভিন্ন সময়ে আমরা কর্মসূচি দিয়েছি এবং নির্বাচনেও অংশ নিয়েছি। এর কোনোটাই আজ পর্যন্ত কাজে আসে নাই। সুতরাং আগামীর জন্য আমাদের ভাবতে হবে।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, আমাদের গণতন্ত্রের মা, আমাদের দেশনেত্রী খালেদা জিয়া জেলখানায় রয়েছেন আগামীকাল (শনিবার) দুই বছর হতে যাচ্ছে। এই যে জনগণের ভোট, মৌলিক অধিকার, আইনের শাসন ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা কেড়ে নেয়া- এসব কিছুর সঙ্গে খালেদা জিয়ার জেলে থাকার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। ওনাকে জেলে রেখে জনগণের ভোটের মৌলিক অধিকার, বাক-স্বাধীনতা এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা কেড়ে নেয়া হয়েছে। সুতরাং যতদিন গণতন্ত্রের মা জেলে থাকবেন ততদিন ভোটাধিকার, বাক-স্বাধীনতা, মৌলিক অধিকার, আইনের শাসন এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ফিরে পাবেন না।
আয়োজক সংগঠনের সহসভাপতি কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, বিলকিস ইসলাম, এলডিপি একাংশের মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম প্রমুখ।
Development by: webnewsdesign.com