অ্যাথলেটিক্সের খবরাখবর রাখেন তাদের কাছে নামটি বেশ সুপরিচিত। তবে উইলমা রুডলফ, অ্যালিসন ফেলিক্সের মতো দৌড়বিদ কিংবা শেরেনা উইলিয়ামসের মতো জগদ্বিখ্যাত অ্যাথলেটদের তালিকায় নিজের নাম এখনো তুলতে পারেননি অ্যালিসন স্মিথ। কিন্তু ঠিকই নিজের নাম ফুটিয়েছেন লক্ষ লক্ষ ভক্তদের মুখে। তবে শেরেনার মতো বিশ্ব জয় করে নুয়, বরংচ নিজের রূপের কারণেই ভক্তদের মাঝে এত বেশি খ্যাতি মিলেছে এই জার্মান তারকার।
১৯৯৮ সালে জার্মানির ওয়র্ম শহরে অ্যালিসার জন্ম। তিন বছর আগে ২০১৭ সালে বার্লিনে অনূর্ধ্ব ২০ ইউরোপিয়ান অ্যাথলেটিক্সে ৪x৪০০ মিটার রিলে রেসে জার্মানিকে রুপা এনে দিয়ে আলোচনায় উঠে আসেন অ্যালিসা। ১৮ বছর বয়সী অ্যালিসা তখন থেকেই মন কাড়ে ভক্তদের। আর তাই তো ময়দানের বাইরে ২১ বছর বয়সি এই সুন্দরীর অনুরাগীর সংখ্যা এখন আকাশছোঁয়া।
সম্প্রতি তাকে ঘিরে ছড়িয়ে পড়েছে নানান আলোচনা। আমেরিকার প্রকাশনা সংস্থা বাস্টেডে কভারেজ’র হিসাবমতে বিশ্বের সব থেকে সুন্দরী এবং আবেদনময়ী অ্যাথলেট হিসেবে শীর্ষস্থান দখল করে রেখেছেন অ্যালিসা স্মিথ। তবে নিজেকে বিশ্বের সব থেকে সুন্দরী অ্যাথলেট মানতে নারাজ অ্যালিসা। এই ব্যাপারে অ্যালিসা জানিয়েছেন, এই প্রজন্মের আর পাঁচটা সাধারণ তরুণীর মতো তারও নিজের ছবি শেয়ার করতে ভাল লাগে। তবে আমি মনে করি না যে আমি সব থেকে সুন্দরী অ্যাথলেট।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে বর্তমানে অ্যালিসার অনুসারীর সংখ্যা প্রায় সাড়ে ছয় লাখ। তবে তাকে নিয়ে ভক্তদের এমন মাতামাতিতে বেশ বিস্মিত অ্যালিসা। তিনি মানেন কিংবা না মানেন কিন্তু ভক্তদের কাছে ঠিকই অ্যালিসা বনে গেছেন বিশ্বের সব থেকে রূপবান নারী অ্যাথলেট। তাই তো টোকিও অলিম্পিকের অন্যতম আকর্ষণ হতে যাচ্ছেন নি:সন্দেহে অ্যালিসা স্মিথ। তবে তার ভক্তদের হয়ত হতাশা নিয়েই থাকতে হচ্ছে কারণ এখন পর্যন্ত টোকিও অলিম্পিকের জন্য জার্মানির দলে জায়গা করে নিতে পারেননি অ্যালিসা।
তবে অলিম্পিকের দলে ডাক পান কিংবা না পান জনপ্রিয় বিনোদন ম্যাগাজিন ‘প্লেবয়’ থেকে ঠিকই ডাক পেয়েছেন অ্যালিসা। ‘প্লেবয়’ ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদের মডেলিংয়ের জন্য ডাক পেয়েছিলেন অ্যালিসা। তবে তাদের না করে দিয়ে অ্যালিসা বলেন, ‘আমি জানি না কেন আমাকে সব থেকে সুন্দরী অ্যাথলেট বলা হয়। আমার কাছে সবার আগে খেলাধুলা।‘
টোকিও অলিম্পিকে জার্মানির পতাকা জড়িয়ে অংশগ্রহণ করতে পারবেন কিনা তা এখনও ধূসর তবে লক্ষ লক্ষ ভক্তের মন ঠিকই জয় করে নিয়েছেন অ্যালিসা। তাই তো ট্র্যাকের বাইরে অফ ট্র্যাকেই সব থেকে বেশি আলোচিত তিনি।
Development by: webnewsdesign.com