আবারও হত্যার হুমকি সালমানকে

বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪ | ১২:২৬ অপরাহ্ণ

আবারও হত্যার হুমকি সালমানকে
apps

আবারও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলিউড সুপারস্টার সালমান খানকে। পাশাপাশি একই ধরনের হুমকি দেওয়া হয়েছে মহারাষ্ট্রের বিধায়ক এবং কিছুদিন আগে আততায়ীর গুলিতে নিহত বাবা সিদ্দিকির ছেলে জিশান সিদ্দিকিকেও। এই হুমকির পরপরই ২০ বছর বয়সী এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মোহাম্মদ তৈয়ব ওরফে গুরফান খান। তাকে উত্তর প্রদেশের নয়ডা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে হেফাজতে নেয় মুম্বাই পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গুরফান খানকে রিমান্ডে নেওয়ার প্রক্রিয়াও চলছে।

পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় মুম্বাইয়ের বান্দ্রায় জিশান সিদ্দিকির অফিসে একটি বার্তা পাঠানো হয়। সেখানে সালমান খান ও মহারাষ্ট্রের বিধায়ক জিশানকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয় এবং মুক্তিপণ দাবি করা হয়। জিশান সিদ্দিকির অফিসের এক কর্মচারী এ বিষয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন এবং একটি এফআইআর দায়ের করা হয়। পুলিশ পরে হুমকির মূল হোতা হিসেবে মোহাম্মদ তৈয়ব নামে একজনকে শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করে।

এর আগে মুম্বাই পুলিশ জামশেদপুরের ২৪ বছর বয়সী সবজি বিক্রেতা শেখ হুসেন শেখ মহসিনকে গ্রেপ্তার করে সালমান খানকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে। মহসিন মুম্বাই ট্রাফিক পুলিশের হোয়াটসঅ্যাপ হেল্পলাইন নম্বরে হুমকির বার্তা পাঠিয়েছিল ৫ কোটি রুপি মুক্তিপণ দাবি করেন।

সালমান খান এর আগে লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং থেকে প্রাণনাশের হুমকি পেয়েছিলেন। বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সন্দেহভাজন সদস্যরা গত এপ্রিলে দাবাং খানের বান্দ্রার বাড়ির বাইরে গুলি চালিয়েছিল। একের পর এক হুমকির পর তার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

এদিকে, চলতি মাসের শুরুর দিকে সালমান খানের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত সাবেক বিধায়ক এবং ন্যাশনাল কংগ্রেস পার্টি (অজিত পাওয়ার) শিবিরের নেতা বাবা সিদ্দিকি মুম্বাইয়ে তার ছেলে জিশানের অফিসের কাছে গুলিবিদ্ধ হন। তার হত্যাকাণ্ডের কয়েক সপ্তাহ পরে জিশান ও সালমান খানকে নতুন করে এই হুমকি দেওয়া হলো।

বাবা সিদ্দিককে হত্যার পেছনে গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের হাত আছে বলে জানা গেছে। লরেন্স বিষ্ণোই নিজে এই হত্যার দায় স্বীকার করেছেন। বাবা সিদ্দিকের সঙ্গে সালমান খানের গভীর বন্ধুত্বের কথা কারও অজানা নয়। ভাইরাল হওয়া এক পোস্টে দাবি করা হয়েছে যে ভাইজানের সঙ্গে বন্ধুত্বের কারণে প্রাণ হারাতে হয়েছে বাবা সিদ্দিককে। তবে তার ছেলে জিশান এই দাবি সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করেছেন। জিশানের মতে, সম্পত্তিগত বিবাদের কারণে তার বাবাকে প্রাণ হারাতে হয়েছে।

এদিকে বাবা সিদ্দিকের মতো বন্ধুকে হারিয়ে ভেঙে পড়েছেন সালমান। এই রাজনীতিবিদের মৃত্যুর ১৬ দিনের বেশি পার হয়ে গেছে। সালমান নিয়মিত সিদ্দিক পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন। আর এ কথা জিশান জানিয়েছেন।

তিনি জানিয়েছেন, ‘আমার বাবার মৃত্যুর ঘটনায় সালমান ভাই শোকাহত। উনি সব সময় পাপাকে (বাবা) স্মরণ করেন। আর আমাকে ফোন করে পরিবারের হালচাল জিজ্ঞাসা করেন৷ এ ঘটনার ১৬ দিন পার হয়ে গেছে। কিন্তু সালমান ভাই রোজ আমাদের সঙ্গে কথা বলেন। সালমান ভাই অনেক বেশি রাতে ফোন করে জানান যে উনি ঠিক আছেন। তবে ভাই সারা রাত ভালোভাবে ঘুমাতে পারেন না।

জিশান এ প্রসঙ্গে আরও বলেছেন, ‘সালমান ভাই আর পাপা আপন ভাইয়ের মতো একে অপরের কাছাকাছি ছিলেন। পাপার মৃত্যুর পর ভাই আমাদের খুব সঙ্গ দিয়েছেন। উনি আমাদের পাশে সব সময় আছেন আর আগামী দিনেও থাকবেন।

বাবা সিদ্দিকের হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এখনো ৩ জন পলাতক। মুম্বাই ক্রাইম ব্রাঞ্চ এই মামলার তদন্ত করছে।

Development by: webnewsdesign.com