সংকট বাড়াচ্ছে অবৈধ গ্যাস সংযোগ

বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪ | ১:৫৬ অপরাহ্ণ

সংকট বাড়াচ্ছে অবৈধ গ্যাস সংযোগ
apps

অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে নড়েচড়ে বসেছে বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজসম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা) নিয়ন্ত্রণাধীন বিতরণ কোম্পানিগুলো। এর আগে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে কয়েকবার এই উদ্যোগ নেওয়া হলেও তখন কেরানীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুরসহ ঢাকার আশপাশের শিল্পাঞ্চলগুলোতে সেভাবে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা যায়নি। এবার এসব এলাকার শিল্পে যে অবৈধ গ্যাস সংযোগ আছে তা বিচ্ছিন্নে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। গতকাল রাজধানীর কারওয়ান বাজারের পেট্রোসেন্টারে ‘গ্যাসের অবৈধ ব্যবহার রোধকল্পে জনসচেনতা সৃষ্টিতে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় পেট্রোবাংলা কর্তৃপক্ষ সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।

গত ৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত ৪৫ দিনে তিতাস গ্যাসের আওতাধীন এলাকায় ৫ হাজার ২৯৪টি অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এর মধ্যে আবাসিকে অবৈধ সংযোগ ছিল ৫ হাজার ১৭০টি। বাণিজ্যিকে ৪৬টি আর শিল্পে ৭৮টি। এ সময় ২৯ কিমি পাইপলাইন অপসারণ করা হয়। এর ফলে দিনে ৪১ লাখ ৩৭ হাজার ৫৩ ঘনফুট গ্যাস সাশ্রয় হয়। এ সময়ে দৈনিক ২০ লাখ ১৫ হাজার টাকার গ্যাস সাশ্রয় হয়। এই ৪৫ দিনে কেরানীগঞ্জের ৩৩টি, বাণিজ্যিকে ১৬টি এবং শিল্পে ৬৭টি অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এতে দিনে ১৩ লাখ ১৭ হাজার ৮২৮ টাকার গ্যাস সাশ্রয় হয়। পেট্রোবাংলার দেওয়া তথ্যে, গত বছরের জুলাই থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ১২ মাসে ২ লাখ ৬ হাজার ৬৫০টি অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এ সময় ৪৪৪ কিমি পাইপলাইন অপসারণ করা হয়। বর্তমানে ৫৫টি টিম সপ্তাহে তিন দিন অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করছে। এ ছাড়া গত বছর অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে ১৮৬টি মোবাইল কোর্ট অভিযান চালানো হয়। এর মাধ্যমে দিনে প্রায় ২ কোটি টাকার গ্যাস সাশ্রয় করা হয়।

পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার বলেন, অবৈধ গ্যাস সংযোগ চিহ্নিত করতে না পারলে সিস্টেম লস থেকে বের হওয়া যাবে না। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের নির্দেশে পেট্রোবাংলা কর্তৃপক্ষ অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে সম্প্রতি কার্যক্রম জোরদার করেছে। আমরা এ অভিযান পরিচালনার জন্য ম্যাজিস্ট্রেট আনার চেষ্টা করছি। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় কেরানীগঞ্জে অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার অভিযানে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। এজন্য এবার এখানে বিশেষ করে শিল্পে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নে জোর দেওয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে কিছু জায়গায় অভিযান চালাতে গিয়ে আমরা বাধার সম্মুখীন হয়েছি। বিশেষ করে কিছু কারখানায় অভিযান চালাতে গেলে শ্রমিকরা বাধা দেয়।

গ্যাস বিল বকেয়া ৩০ হাজার কোটি টাকা : পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান আরও জানান, দেশে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে গত আগস্ট পর্যন্ত গ্যাসের বকেয়া বিল দাঁড়িয়েছে ৩০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছে পাওনা ১৯ হাজার কোটি টাকার বেশি। সরকারি সার কারখানায় গ্যাস বিল পাওনা ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকা।

Development by: webnewsdesign.com