‘দেশের ডাক ফেলতে পারিনি’

সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ১২:০৬ অপরাহ্ণ

‘দেশের ডাক ফেলতে পারিনি’
apps

অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদ। গতকাল বাংলাদেশ শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট ও চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের সদ্য গঠিত বোর্ডের সদস্য হিসেবে যুক্ত করা হয়েছে তাকে। এই অন্তর্ভুক্তিতে স্বস্তি প্রকাশ করছেন বেশির ভাগ মানুষই।

কারণ তিনি বিগত সরকারের আমলে তুমুল নিগ্রহের শিকার হয়েছেন। খেটেছেন জেল। সয়েছেন নির্যাতন। হারিয়েছেন কাজ। এমনকি ঠকেছেন শিল্পমাধ্যম থেকেও। শিল্পীদের গুরুত্বপূর্ণ দুটি পদ পাওয়া ও নিজের কাজ নিয়ে তিনি কথা বলেছেন বিনোদন প্রতিদিনের সঙ্গে।

বাংলাদেশ শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের সদস্য হওয়ায় আপনাকে অভিনন্দন।

কখনো কি মনে হয়েছে একই দিনে এত বড় দুটো দায়িত্ব কাঁধে চেপে যাবে?

না। কখনোই মনে হয়নি। তবে আমার বাবা বলতেন, ‘তুমি যেমন মানুষ তেমনই সম্মানটাও পাবে।’ এটা মনে হয় আমার বাবা-মায়ের দোয়াই।

একসঙ্গে বড় দুটি পোস্ট, কোনো চাপ অনুভব করছেন কি?

অবশ্যই চাপ মনে করছি। সবচেয়ে বড় কথা হলো-এই দুইটা বিষয় যে বড় সেটা মাথায় ঢুকাতে চাচ্ছি না, শুধু দায়িত্বটা মাথায় ঢুকাতে চাচ্ছি। এছাড়া আমি আগে থেকেই এগুলো নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করতাম। এখন সবার পরামর্শ নিয়ে কল্যাণ ট্রাস্ট ও চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডে কাজ করে যেতে চাই। যাতে সবার কল্যাণ হয়। আর যারা আমার সঙ্গে রয়েছেন তারা আমার চেয়ে অনেক বেশি জানেন। এই সময়টা যত বেশি আমরা একসঙ্গে হয়ে কাজ করব ততটা সফলতা পাব।

মাঝখানে আপনি এসব থেকে দূরে ছিলেন। আবার যুক্ত হলেন?

এটা সত্য যে আমি অনেকদিন দূরে ছিলাম। এইসব জায়গায় আসারও ইচ্ছা ছিল না। আমি অনেক ছোট মানুষ। দেশ ডেকেছে, মানা করতে পারিনি। যখনই দেশ ডাকে তখনই মনের কথা শুনি। মনও সায় দিয়েছে। এখন দায়িত্বটা ঠিকঠাক পালন করতে চাই। এখন বসে থাকার সময় নয়। সংস্কৃতি আসলে সাধারণ মানুষের জন্য। এটা একক কোনো মানুষের জন্য নয়। এছাড়া আশপাশের সবাই আমাকে সায় দিয়েছে, তাই দূরে থাকতে পারলাম না।

দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অভিনয়ের ওপর প্রভাব পড়বে না?

অভিনয়ের কারণেই আমি আজ এই পর্যন্ত এসেছি। ওই জায়গা থেকে আমি কখনোই সরে যেতে পারব না। আমি আগে থেকেই সংখ্যার চেয়ে মানের দিকে বেশি নজর দিয়েছি। চেষ্টা করব দায়িত্ব ও অভিনয় দুটো ভারসাম্য রেখে করার।

অভিনেত্রী হিসেবে জনগণের জন্য করণীয় সম্পর্কে কিছু বলতে চান?

শিক্ষার্থীরা কিন্তু আমাদের চোখ খুলে দিয়েছে। তারা আমাদের রাস্তায় লাইন ধরে চলতে শিখিয়েছে। ক্ষমতার দাম্ভিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে শিখিয়েছে। ‘আপনি জানেন আমি কে?’-এইটা যেন আমাদের মধ্যে আর কাজ না করে। আমি কে, এটা বলা যাবে না। আমরা হতে হবে। অন্যকে কিছু বলার আগে নিজের দিকে আঙুল তুলতে হবে। নিজেরা ঠিক থাকলে দেশে এগিয়ে যাবে।

এখন নতুন কোনো কাজ করছেন?

নতুন একটি সিনেমায় কাজ শুরু করেছি। এই মুহূর্তে নাম বলা নিষেধ। আগামী মাসে শুটিং হবে। এছাড়া আরো একটি সিনেমার শুটিংয়ের কিছু অংশ বাকি আছে। দ্রুতই শেষ হবে।

Development by: webnewsdesign.com