কর্মব্যস্ততার পর রাতে প্রশান্তির ঘুম খুব দরকার। কারণ ক্লান্তি দূর করতে সবচেয়ে উপকারী ঘুম। কিন্তু সাম্প্রতিককালে অনেকেরই কম ঘুম হওয়া একটা সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশ্বে প্রাপ্তবয়স্ক মানুষদের প্রতি তিনজনের একজন ঘুমের সমস্যায় ভুগছে।
ঘুম কম হলে মানুষ মনোযোগ দিয়ে কাজ করতে পারে না। এক কাজ একাধিক বার করতে হয় বলে সময়ও বেশি দরকার হয়। এ ছাড়া দিনে কাজের সময় ঝিমুনি ভাব চলে আসে।
কাজের জন্য ঘুমকে বিসর্জন দিয়ে থাকেন অনেকে। কম ঘুমিয়ে দিনের পর দিন কাজ আর কাজ করলে ঘটতে পারে বিপত্তি। বাস্তবতা হলো যারা ছয় ঘণ্টা বা তার কম সময় ঘুমান তাদের শরীরে কিছু না কিছু ক্ষতি হবেই হবে। প্রতিদিন সাত ঘণ্টার কম সময় ঘুমালে আলঝেইমার, ক্যানসার, স্থূলতা, ডায়াবেটিস, উদ্বিগ্নতা, হতাশা, এমনকি আত্মহত্যার প্রবণতাও তৈরি হয়।
সেজন্য বলা হয় শরীর সুস্থ রাখার অন্যতম ওষুধ হলো পর্যাপ্ত ঘুম। এর ফলে রোগ প্রতিরোধ শক্তিও মজবুত হয়। বিভিন্ন রোগবলাই থেকে শরীর নিজেই নিজেকে রক্ষা করে। সংক্রমণ ঠেকায়। তাই একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন অন্তত ৬-৮ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। শরীরে ঘুমের প্রয়োজনীয়তা এড়িয়ে যাওয়া মানে নিজেরই ক্ষতি করা। প্রথম দিকে এটিকে তেমন একটা গুরুতর সমস্যা মনে না হলেও পরবর্তীকালে বিভিন্ন দীর্ঘমেয়াদি শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হবে।
ঘুম ভালো হলে শুধু শরীর নয়, মনও ভালো থাকে। কাজে মনোযোগ বৃদ্ধি পায়। প্রয়োজনের তুলনায় ঘুম কম হলে তা শরীর ও মন— কোনোটির জন্যেই ভালো নয়। পাশপাশি কম ঘুমে কমে কার্যক্ষমতা, দ্বিধা-দ্বন্দ্ব বাড়ে, স্মরণশক্তি হারায় মানুষ। তাই সুস্থ থাকতে নির্দিষ্ট সময় ঘুমাতে হবে।
অন্যদিকে যাদের ওজন বেশি তাদের ঘুম কম হয়। যারা মানসিক চাপে থাকেন, তাদেরও ঘুম কম হয়। কম ঘুমালে ধীরে ধীরে মানুষের কার্যক্ষমতা কমে আসে, উৎপাদনশীলতা কমে যায়, কাজে অনুপস্থিতির হার বাড়ে, ঘুম কম হলে চিকিৎসা ব্যয় বাড়ে, এবং ব্যক্তির অপরিণত মৃত্যু বেড়ে যায়।
Development by: webnewsdesign.com