দেশের এক-তৃতীয়াংশ মানুষ ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত। তবে জীবনযাপন পদ্ধতি এবং খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ফ্যাটি লিভার থেকে নিরাপদ থাকা সম্ভব। আজ বুধবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) হেপাটোলজি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এসব কথা বলেন।
আন্তর্জাতিক ফ্যাটি লিভার দিবস উপলক্ষে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘ফ্যাটি লিভার আজই শনাক্ত করুন’।গোলটেবিল বৈঠকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী রোকেয়া সুলতানা বলেছেন, ‘আশা করছি বাজেট গতবারের তুলনায় ভালো হবে। বাজেট অপ্রতুল মনে হয়, কারণ আমাদের এক শ শয্যার হাসপাতালে দুই শতাধিক রোগী চিকিৎসা নেয়। সব হাসপাতালেই শয্যা সংখ্যার দ্বিগুণ রোগীর চিকিৎসা দিতে হয়। সেই হিসেবে কিছুটা অপ্রতুল হলেও যেকোনো প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রী প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থান করেন।’
বৈঠকে জানানো হয়, দেশের জনসংখ্যার ৩৩ দশমিক ৬৮ শতাংশ ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত। দেশের জনসংখ্যার সংখ্যার হিসেবে প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর আক্রান্তের হার ৩০ শতাংশ। অন্যদিকে ৪০ থেকে ৬০ বছরের বেশি বয়সী রোগী ২৫ শতাংশ। দেশে ফ্যাটি লাভার রোগীর সংখ্যা হেপাটাইটিস-বি ও সি ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর তুলনায় বেশি। শুরুতেই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা না নিলে ফ্যাটি লাভার থেকে ন্যাশ, ন্যাশ থেকে সিরোসিস এবং সিরোসিস থেকে লিভার ক্যানসার হতে পারে।
এতে জানানো হয়, রক্তে অতিরিক্ত চর্বি, হাইপার টেনশন বা রক্তচাপ, নারীদের পলিসিস্টিক ওভারি ফ্যাটি লিভার আক্রান্তের মূল কারণ। মাত্রাতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট, জাঙ্ক ফুড ও অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার পরিহার করে এবং নিয়মিত কায়িক পরিশ্রম করে ফ্যাটি লিভার থেকে নিরাপদ থাকা সম্ভব।
বৈঠকে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান বলেন, ‘জীবনযাপন পদ্ধতি এবং খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ফ্যাটি লিভার থেকে নিরাপদ থাকা সম্ভব।’
দেশ রূপান্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোস্তফা মামুনের সভাপতিত্বে বৈঠকে আরও বক্তব্য দেখেন ‘সম্প্রতি বাংলাদেশ’-এর সভাপতি পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) মহাসচিব ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী, জাপানের ঔতা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ড. শেখ মোহাম্মদ ফজলে আকবর, বিএসএমএমইউ হেপাটোলজি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব, একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. আব্দুর রহিম ও শেখ মো. নূর-ই-আলম ডিউ প্রমুখ।
Development by: webnewsdesign.com