দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে কথা বলছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘আজ সারাদেশের মানুষ মনে করে প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের মন্ত্রীরা যে কথা বলেন তার চার পয়সা দাম নেই, কারণ তারা একটাও সত্যি কথা বলেন না।’
আজ বুধবার সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান (বীর উত্তম) এর ৪৩তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষ্যে মোহাম্মদপুরে ২৯নং ওয়ার্ডের বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আমরা একটা প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যে এ দেশে বসবাস করছি। ভিন্নমত দমন করা হচ্ছে। যারা সত্য কথা বলবেন তাদেরকে যেতে হয় কারাগারে। তাদেরকে সরকারি নিপীড়নের শিকার হতে হয়। আজকে আমাদের অনেক নেতাকর্মীকে হারিয়েছি। তারা কোথায় আছে কেউ জানে না, তাদের পরিবারও জানে না। এভাবে অসংখ্য গুম করে, জনগণকে ত্যাজ্য করে ভোটারদেরকে দুরে সরিয়ে রেখে নির্বাচনী প্রহসনের মাধ্যমে ডামি সরকার, দখলদার সরকার ক্ষমতায় আছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘এরা গণতন্ত্রকে এমন পরিস্থিতির মধ্যে নিয়ে যেতে চায় যে, গনতন্ত্র বলে এদশে আর কিছু থাকবে না। তাই গণতন্ত্র এখন গোরস্থানে, কথা বলার স্বাধীনতা এখন শ্মশানে, মানুষ নির্ভয়ে কোন কথা বলতে পারে না। এ পরিস্থিতির মধ্যে দিনাতিপাত করতে হচ্ছে এদেশের মানুষকে।’
রুহুল কবির রিজভীবলেন, ‘আজকে সারাদেশের মানুষ মনে করে প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের মন্ত্রীরা যে কথাই বলেন তার চার পয়সা দাম নেই, কারণ তারা একটাও সত্যি কথা বলেন না। এক বিভীষিকাময় পরিবেশের মধ্যে গোটাদেশ। গরীব মানুষ তাদের ফসলি জমি বিক্রি করে সন্তানকে বিদেশে পাঠাচ্ছেন ভালোভাবে বসবাস করার আসায়, বিদেশ থেকে রেমিটেন্স পাবার আসায়। আজ ১৭ থেকে ১৮ হাজার শ্রমিক তারা যেতে পারেনি। তারা মালয়েশিয়ায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে তাদের ঘটি বাটি জমি বিক্রি করেও যেতে না পেরে শুনতে পেলাম একজন ভৈরব রেল সেতুতে আত্মহত্যা করেছেন, কেউ কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি ফিরেছেন। এটাই সরকারের অবদান। তারা গরীব মানুষকে আরও গরীব করে দিতে চায়। কারণ কেউ যাতে রুখে দাড়াঁতে না পারে।’
রিজভী বলেন, ‘প্রতিদিন জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। আলুর দাম এক মাস আগে ৩০টাকা ছিল। এখন ৫৫ থেকে ৬০ টাকা হয়েছে। এক হালি ডিম ৫৫ টাকা, পাড়া মহল্লার মধ্যে ৬০টাকায় বিক্রি হচ্ছে, এক ডজন ডিমের দাম ১৬০টাকা। সরকার যদি নির্বাচিত না হয়, জনগণের ভোটে না হয় তাহলে সে সরকার জনগণের স্বার্থ চিন্তা করে না, কল্যাণ কামনা করে না। তারা চিন্তা করে তারা কিভাবে টাকা পাচার করবে, কিভাবে তারা জনগণের টাকা লুট করবে। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর শরাফত আলী সপুসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
Development by: webnewsdesign.com