আওয়ামী লীগ সরকার দেশকে একটি লুটপাটের স্বর্গ বানাতে চাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর শান্তিনগর এলাকায় চলমান উপজেলা নির্বাচন বর্জনের দাবিতে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ শেষে তিনি এ কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতা ও তাদের ঘনিষ্ঠজনরা দেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে। আজকেও দুবাইয়ে ৩৯৪ জন বাংলাদেশির মালিকানাধীন ২২ কোটি ৫৩ লাখ ডলারের বেশি মূল্যমানের ৬৪১টি সম্পত্তির খবর ছাপা হয়েছে পত্রিকায়।’
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘এ সম্পদের মালিক ক্ষমতাসীন দলের যারা ব্যাংক লুটপাট করেছে, ফ্লাইওভার, পদ্মা সেতুসহ মেগা প্রজেক্টের নামে টাকা লুট করে তারা। এসব খবর আর লুকানো যাচ্ছে না। সরকারের লোকদের লুটপাটের খবর একের পর এক বের হতে শুরু করেছে।’
বিএনপির সিনিয়র এ নেতা বলেন, ‘চারদিকে এ সরকার ব্যর্থ হয়ে এখন গোটা জাতিকে ফতুর করার জন্য একের পর এক আর্থিক খাত, সামাজিক খাত সব লুট করছে। প্রত্যেকটি খাতে এখন নৈরাজ্য বিরাজ করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘একের পর এক লুট হয়ে ব্যাংকগুলো ধসে গেছে। মন্ত্রী-এমপিদের নামে ব্যাংক, তারা সব লুট করে ফেলছে। এখন সরকার ভালো ভালো ব্যাংকের সঙ্গে সেগুলোকে মিশিয়ে দিতে চাচ্ছে। এবাবে তারা জনগণের টাকা, জনগণের সম্পাদক লুটপাট করেছে, পাচার করেছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের ভিতরে কী হচ্ছে, সেটি দেশের মানুষকে জানতে দেওয়া হচ্ছে না। সেখানে সাংবাদিকরা প্রবেশ করতে পারে না। গত পরশু দিন বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে একটি বিশাল অংকের টাকা কোড হ্যাক করে লুট করা হয়েছে বলে খবর বেরিয়েছে। এর কোনো উত্তর নেই। এরও কোনো উত্তর দিতে পারে না সরকার। কারণ নিজেদের লোকদের, নিজেদের মানুষদেরকে অর্থ লুটের সুযোগ করে দিতে এ ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশের টাকা নেই। রিজার্ভ শেষ। যা দিয়ে ব্যবসা করা হয়, যা দিয়ে উন্নয়ন হবে, সে টাকা আজ শূন্যের দিকে। এর কি জবাব দিবেন শেখ হাসিনা। এর জবাব তিনি দিতে পারবেন না। কারণ তার লোকেরাই এটি করেছে।’
‘আজকে মানুষ কোন রকমে কয়েকটি শাকসবজি নিয়ে বাড়িতে যায়, মাছ কিনতে পারে না, মাংস কিনতে পারে না। এক মন ধান বিক্রি করে এক কেজি মাংস কেনা যায় না। এ হলো দেশের অবস্থা,’ বলেন বিএনপির মুখপাত্র।
রিজভী বলেন, ‘বর্তমানে ডামি ভোটে নির্বাচিত সরকার হলো দখলদার সরকার। তাদের জনগণের কোন ম্যান্ডেট নেই। জনগণের ভোটের কোন দরকার হয় না তাদের। শেখ হাসিনা যাকে পছন্দ করবে সেই হবে উপজেলা চেয়ারম্যান। এখানে নির্বাচনের নামে শুধু প্রহসন বা আনুষ্ঠানিকতা চলছে মাত্র। সুতরাং এ নির্বাচন বর্জন করুন। আপনারা যারা ঢাকায় আছেন আপনাদের আত্মীয় স্বজনদের এ নির্বাচন বর্জনের আহবান জানান।’
লিফলেট বিতরণের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি’র সহ অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, সদস্য অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি ডাঃ জাহিদুল কবির, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সাদরেজ জামান, বিএনপি নেতা জাকির হোসেন, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি তারেক উজ জামান তারেক, এজমল হোসেন পাইলট, হুমায়ুন কবির প্রমুখ।
Development by: webnewsdesign.com