‘ভালোবাসার মানুষের সবকিছুই সহ্য করা যায়। কিন্তু তার অবহেলা সহ্য করা যায় না। প্রয়াত কথা সাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদের কথা এটি। আপনি যাকে ভালোবাসেন তার অবহেলার পাত্র হতে কখনোই আপনার ভালো লাগবে না। শত ব্যস্ততার মধ্যেও মনের ভেতর কোথায় যেন একটা আঁকুতি, একটা ভয়। এ ভয় কীসের? হারানোর নাকি চিরতরে হারিয়ে যাওয়া সে মানুষটির মন থেকে। এমন অবস্থায় অনেকে ভোগেন দুশ্চিন্তা ও মানসিক যন্ত্রণায়। সার্বক্ষণিক উদ্বেগের তাড়নায় ঘটে স্বাস্থ্যহানি। কি করা উচিত সেই বিষয়ে বিভ্রান্তিতে ভোগেন অনেকেই। কিন্তু সমস্যা সমাধানে যে এগিয়ে আসতে হবে আপনাকেই। সম্পর্ক ধরে রাখার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে যোগাযোগ রাখার সঠিক অভ্যাস ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা। খেয়াল করে দেখুন আপনাদের যোগাযোগ নিয়মিত হচ্ছে কি-না। আবার অনেক সময় দিনে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ হলে আপনার সঙ্গী রাতে কথা নাও বলতে পারে। এটা নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। যেকোনো সম্পর্কের জন্য তৃতীয় ব্যক্তি খুব ক্ষতিকর। তৃতীয় ব্যক্তির কারনে যেন দু’জনের মধ্যের কমিউনিকেশন মিসকমিউনিকেশনে পরিণত না হয় সে ব্যাপারে দু’জনকেই সজাগ থাকতে হবে। পরস্পরের প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্ককে করে তোলে আরও মজবুত। তবে অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো নয়। আপনার সঙ্গী সময়মত খেয়েছে কি-না বা শরীর ঠিক আছে কি-না তা জানার জন্যই জিজ্ঞেস করুন। রুটিনে পরিণত করবেন না বা বারবার জিজ্ঞেস করবে না। স্কাইপে কথা বলা বা ফেসবুকে চ্যাট করার সময় দু’জন দুজনের দিকে মনযোগ দিন। অহেতুক অপেক্ষা করাবেন না। কোনো কাজের জন্য উঠতে হলে তাকে জানান যে আপনি ব্যস্ত। কারণ দীর্ঘক্ষণ চ্যাটের রিপ্লাই না পেলে সে ভাবতে পারে যে আপনি তাকে অবহেলা করছেন বা গুরুত্ব দিচ্ছেন না।
ভালোবাসার সম্পর্ক চিরন্তন। যদি মনে হয় আপনি তার সঙ্গে ভালো নেই, তাহলে তাকে সেটা বলে দিন। অহেতুক তাকে মিথ্যে বলবেন না। এতে কষ্ট বাড়বেই। যদি মনে হয় যে ভালোবাসা আর নেই তাহলে এখানেই শেষ করুন। তাকে মিথ্যে বলে ঠকাবেন না।
Development by: webnewsdesign.com