‘বেশি বেশি বই পড়ুন’। এই পরামর্শটা প্রায় সবাই পেয়ে থাকেন। কেবল পরামর্শ নয়, এখন বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানও গড়ে উঠেছে, কেবল পাঠাভ্যাস বাড়ানোর জন্য। আসলে বই পড়ে কী লাভ, কেন পড়তে হবে বই একটি ওয়েবসাইট দিচ্ছে এর ব্যাখ্যা।
নতুন কিছু জানতেবই পড়ার মাধ্যমে আপনি নতুন নতুন জিনিস, তথ্য ও নতুন যে কোনো সমাধান জানতে পারবেন। আপনি কি জানেন, পৃথিবীতে অধিকাংশ মানুষেরই প্রিয় শখ হলো বই পড়া। এর মাধ্যমেই অনেকে নিজ ক্যারিয়ার খুঁজে পেয়েছেন এবং জীবনে বেশ সাফল্যমণ্ডিত হয়েছেন।
আত্মোন্নয়ন ঘটাতে
বই পড়ার মাধ্যমে আপনি নতুন এক সত্তায় রূপান্তরিত হয়ে যেতে পারেন। এর মাধ্যমে আপনি বিশ্বকে আরও গভীরভাবে জানতে ও বুঝতে পারতেন। আত্মবিশ্বাস এবং আত্মোন্নয়নের ওপর অনেক বই আছে, যেগুলো পড়ে খুব সহজেই সাফল্যের নতুন এক দ্বার খুঁজে পেতে সক্ষম হবেন। ভবিষ্যতের ব্যাপারে অনেক অজানা তথ্যও আপনি বই পড়ার মাধ্যমে উদ্ধার করতে পারবেন।
বোঝার ক্ষমতা বৃদ্ধি করা
আপনি যত পড়বেন, তত আশেপাশের বিষয় সম্পর্কে একটি স্পষ্ট ধারণা পোষণ করতে পারবেন। যেমন— নতুন কোনো স্থান, প্রাণী কিংবা ঐতিহ্য সম্পর্কে খুব সহজ একটি ধারণা পেতে পারেন বই পড়ে। যে কোনো বিষয়ের সত্যতাও খুব সহজে উপলব্ধি করতে পারবেন বই ঘেঁটে। জীবনের যে কোনো নিয়মকানুন, আচারব্যবহার জানতে পারবেন এর মাধ্যমে। মনে রাখবেন, খেলা শুরুর আগে নিয়মগুলো জেনে নেওয়া খুব জরুরি।
কাজের প্রস্তুতি নেওয়া
কোনো কাজ শুরু করার আগে কোথা থেকে সাহায্য এবং নির্দেশনা চাইবেন এক্ষেত্রে নিঃসন্দেহে বই আপনাকে সাহায্য করতে পারবে। আজকের যুগে কোনো মানুষের কাছে সাহায্যের প্রার্থনা না জানিয়ে বইয়ের মাধ্যমে খুব সহজেই সমাধান পেয়ে যাওয়া সম্ভব। যেমন—নতুন কিছু রান্না করার আগে মেনু পড়ে নিন, প্রযুক্তির কোনো সামগ্রী ব্যবহার করার আগে ম্যানুয়াল ভালো মতো পড়ে নিন। এসব ব্যবহারই আপনাকে সাহায্য করবে নতুন কোনো কাজ শুরু করার ক্ষেত্রে।
কল্পনাশক্তি বাড়াতে
বই পড়ার মাধ্যমে আপনার কল্পনাশক্তির বৃদ্ধি ঘটে এবং এটি প্রমাণিত হয় যে পৃথিবীতে কোনো কিছুই অসম্ভব নয়। পড়ার মাধ্যমে আপনি জীবনে একদম অন্যরকম দ্বার খুলে ফেলতে সক্ষম হবেন এবং বিভিন্নরকম ফলাফল উদ্ঘাটন করতে পারবেন। মনের মধ্যে জেগে ওঠা অজানা যে কোনো প্রশ্নের উত্তরও নিমিষেই পেয়ে যেতে পারেন বই পড়ে।
Development by: webnewsdesign.com