লাখ লাখ জন্মগত হৃদরোগীর সঙ্গে দেশে প্রতিবছর অন্তত ৫০ হাজার নতুন করে যুক্ত হচ্ছে। এই বিপুল সংখ্যার বিপরীতে ইন্টারভেনশনিস্ট সর্বোচ্চ ১৫ জন। ব্যাংককে জন্মগত হৃদরোগের ৩ দিনব্যাপী এশিয়া প্যাসিফিক কনফারেন্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে (৭ অক্টোবর) বাংলাদেশের এ চিত্র তুলে ধরেছেন শিশু হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. নুরুন্নাহার ফাতেমা।
তিনি জানান, নানা সীমাবদ্ধতার মধ্য দিয়েও শিশুদের হৃদরোগ চিকিৎসার প্রসার ঘটছে বাংলাদেশে।
সম্মেলনে অংশ নেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ছাড়াও বেসরকারি হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরা। এখানে বাংলাদেশিরা যেমন শিখছেন, তাদের কাছ থেকেও অভিজ্ঞতা নিচ্ছেন বিদেশিরা। হার্টের নানা ধরনের ডিভাইস ও ভাল্ব প্রদর্শনী দেখানো হয়েছে সম্মেলনে। বিশ্বের শীর্ষ কোম্পানির এসব সরঞ্জাম দেশে আনতে অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশী সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান।
অত্যাধুনিক কোনো কোনো ডিভাইস, ভাল্বের দাম ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত হওয়ায় প্রয়োজন হলেও কিনতে পারে না বাংলাদেশ। অনেকক্ষেত্রে আমদানি জটিলতায় যথাসময়ে উপযুক্ত ডিভাইস সংগ্রহ করা সম্ভব হয় না। তাই জীবন রক্ষাকারী এসব সরঞ্জাম দেশেই উৎপাদনের আহ্বান জানিয়েছেন অধ্যাপক ডা. নুরুন্নাহার ফাতেমা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লাখ লাখ জন্মগত হৃদরোগীর সঙ্গে দেশে প্রতিবছর অন্তত ৫০ হাজার নতুন করে যুক্ত হচ্ছে। এই বিপুল সংখ্যার বিপরীতে ইন্টারভেনশনিস্ট সর্বোচ্চ ১৫ জন। আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে চিকিৎসকদের জ্ঞানের পরিধি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশে জীবনরক্ষাকারী মেডিকেল ডিভাইস সহজলভ্য করতে পারলে অনাকাঙ্ক্ষিত হাজার হাজার শিশুর মৃত্যু ঠেকানো সম্ভব বলে জানিয়েছেন অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশী চিকিৎসকদের।
Development by: webnewsdesign.com