একমাস আগেও উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে ৩০-৩৫ টাকায় আলু বিক্রি হয়েছে। দাম বেড়ে যাওয়ায় খেটে খাওয়া মানুষের ক্রয়সীমার বাইরে চলে যাচ্ছে আলু। আলুর আড়তদার মেসার্স সিরাজ মিয়া অ্যান্ড সন্সের মালিক সুকলাল বলেন, পঞ্চগড়, রাজশাহী থেকে প্রতি কেজি আলু ৩৮ টাকা কেনা পড়ে। দুই টাকা প্রতি কেজিতে পরিবহন ব্যয় আড়তদার কমিশন বাবদ খরচ হয়। তারপর আমরা ৪২-৪৪ টাকা দরে বাজারে বিক্রি করি। এখন সরকার আমাদের বলে কম দামে আলু বিক্রি করতে। কীভাবে আমরা কম দামে আলু বিক্রি করবো। বেশি দামে আলু কিনে কমে দামে বিক্রি করলে তো পথে বসতে হবে।
চকবাজারের মেসার্স আব্দুল লতিফ অ্যান্ড সন্সের মালিক মাহমুদুর রহমান বলেন, ঠাকুরগাঁও থেকে আলু বেশি দামে কিনে বেশি দামে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করতে হয়। প্রতি কেজি ৩৭-৩৮ টাকা দরে কিনে খরচ বাদে ৪০ টাকা দরে বিক্রি করতে হয়। মূলত আলুর বাজারটা যারা গুদামজাত করে তাদের একটি চক্র নিয়ন্ত্রণ করছে। তাদের যদি নিয়ন্ত্রণ রাখা যায় তাহলে বাজারও নিয়ন্ত্রণ হবে।
স্থানীয় হিমাগারের মালিক দ্বীন ইসলাম জানান, আমার হিমাগারে তেমন একটা আলু নেই। যে আলু ছিল সেগুলো ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি করে দিয়েছি।
ভৈরব চকবাজারের খুচরা ব্যবসায়ী মো. জাকির মিয়া বলেন, আড়ত থেকে ৪২-৪৩ টাকা দরে কিনে ৪৮-৫০ টাকা দরে বিক্রি করছি। এরমধ্য অনেক আলু নষ্ট হয়ে যায়। আমরা ইচ্ছামতো আলুর দাম বাড়িয়ে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করছি না। তবুও প্রশাসন আমাদের জরিমানা করছে।
এ বিষয়ে ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও ) মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান সবুজ বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী বাজারে আলুসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। যদি কোনো অসাধু ব্যবসায়ী আলু অতিরিক্ত দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছেন তাদের বিরুদ্ধে জরিমানাসহ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Development by: webnewsdesign.com