অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, বর্তমানে অনাদায়ী (বকেয়া) আমদানি শুল্কের পরিমাণ প্রায় ৭৬০ কোটি ৩০ লাখ টাকা। সোমবার জাতীয় সংসদে হাবিবুর রহমানের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রীর দেওয়া তথ্যানুযায়ী, বিভিন্ন ধরনের আইনি জটিলতার কারণে ক্ষেত্র বিশেষে আমদানি শুল্ক অনাদায়ী হয়ে থাকে। পণ্য চালান খালাসের পর নিয়মিত নিবারণী তৎপরতার অংশ হিসেবে খালাসোত্তর নিরীক্ষা (পোস্ট ক্লিয়ারেন্স অডিট) কার্যক্রম সম্পাদন করা হয় এবং এর মাধ্যমে অনেক ক্ষেত্রে অনাদায়ী শুল্কের উদ্ভব হয়।
তিনি বলেন, শুল্কায়ন সম্পন্ন হলেও সাময়িক অর্থ সংকটের কারণে অনেক সময় পণ্যের চালান না নেওয়ায় আমদানি শুল্ক অনাদায়ী থেকে যায়। সরকারি প্রতিষ্ঠানের আমদানির ক্ষেত্রে অধিকাংশ সময় বিলম্বে শুল্ক পরিশোধের ভিত্তিতে পণ্যের চালান নেওয়া হয়ে থাকে এবং পরবর্তী সময় পণ্য চালান সংশ্লিষ্ট শুল্ক করাদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিশোধ না করলে সেক্ষেত্রে এই চালানের আমদানি শুল্ক অনাদায়ী থেকে যায়।
মন্ত্রী আরও বলেন, স্থানীয় ও রাজস্ব অডিট অধিদপ্তরের নিরীক্ষা এবং সংশ্লিষ্ট কাস্টম হাউস বা স্টেশনের তৎপরবর্তী বিচারাদেশের মাধ্যমে ফাঁকি দেওয়া শুল্ক আদায়ের কার্যক্রম নেওয়া হয়, ফলে আমদানি পর্যায়ের বকেয়া হয়ে যায়। অনেক সময় আমদানি শুল্ক সংক্রান্ত বিষয়ে আপত্তির (ডিসপুট) কারণে আদালতে মামলা চলমান থাকায় আমদানি শুল্ক অনাদায়ী থাকে।
আদায়ের বিষয়ে নেওয়া পদক্ষেপ ও সফলতার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, দ্য কাস্টমস অ্যাক্ট- ১৯৬৯ এ উল্লিখিত বকেয়া আদায় সংশ্লিষ্ট বিধিবিধান যথাযথভাবে অনুসরণপূর্বক অনাদায়ী শুল্ক আদায়ের কার্যক্রম নেওয়া হয়। এ পর্যন্ত ৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকা আদায় হয়েছে এবং অবশিষ্ট রাজস্ব আদায়ের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
Development by: webnewsdesign.com