শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) আয়তন ৩২০ একর। এর মধ্যে ১১২ একর চাষযোগ্য জমি রয়েছে। এসব জমি কয়েক বছর পতিত থাকলেও চলতি বছর থেকে ফের আবাদ শুরু হয়েছে। এছাড়া ১২০ একর এলাকায় রয়েছে ছোট ছোট টিলা। এসব টিলায়ও বনায়ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বাকি জায়গায় রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও একাডেমিক স্থাপনা, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কোয়ার্টার, শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল, লেক ইত্যাদি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণ শাখার তথ্যমতে, ২০১৯ সাল থেকে ২০২৩ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত প্রায় ৪ বছর চাষযোগ্য জমিগুলো পতিত অবস্থায় ছিল। এসব জমি পতিত থাকার একটি বড় কারণ হচ্ছে মহামারী করোনা। তবে চাষাবাদের উদ্দেশে গত ১৪ এপ্রিল ৪ লাখ ১৬ হাজার ৫০০ টাকায় এক বছরের জন্য স্থানীয় কয়েকজনের কাছে পতিত জমি ইজারা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে এসব জমিতে চাষাবাদ করা হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূসম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণ শাখার পরিচালক এবং বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. রুমেল আহমেদ বলেন, পতিত জমি ইজারা দেওয়ায় স্থানীয় লোকদের কর্মসংস্থানের একটি সুযোগ তৈরি হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববৈচিত্রেও সমৃদ্ধি আসবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে ইজারার অর্থ ব্যয় করা হবে। এখানে অতিথি পাখিদের আনাগোনা বাড়বে।
অপরদিকে, টিলাগুলোতে বনায়ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বন বিভাগের সহায়তায় গত কয়েক বছরে প্রায় ৭০ হাজার বৃক্ষরোপণ করা হয়েছে। নতুন অর্থ-বছরে ১৫ হাজার বৃক্ষরোপণ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। এসব বৃক্ষের মধ্যে রয়েছে আমলকী, হরিতকি, বহেরা, অর্জুন, সাজনা, মিষ্টি তেঁতুল, আম, জাম, কাঁঠাল ইত্যাদি।
Development by: webnewsdesign.com