মাইক্রো ব্লগিং সাইট টুইটার কিনেই হরেক রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেছিলেন মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ক। নীল টিকের বিনিময়ে অর্থ নেওয়া, ব্যবহারকারীদের টুইটের সংখ্যা বেঁধে দেওয়ার মতো তার নানা পদক্ষেপে অনেকেই ক্ষেপে যান। কেউ কেউ পড়েন বিপাকে। সেই সুযোগটাই কাজে লাগিয়ে একই ধরনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘থ্রেডস’ খুলে ফেলেছেন ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ।
আর টুইটারের বিকল্প থ্রেডস প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো ঝড় তুলেছে। এরইমধ্যে মাত্র পাঁচ দিনে ১০০ মিলিয়ন বা ১০ কোটি গ্রাহকের মাইলফলক ছুঁয়েছে জুকারবার্গের থ্রেডস। সোমবার এই তথ্য দিয়েছে একটি ডাটা ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট। তাদের দাবি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক অ্যাপ চ্যাটজিপিটির রেকর্ডও ভেঙে দিয়েছে থ্রেডস।
চ্যাটজিপিটির ১০০ মিলিয়ন ব্যবহারকারীর মাইলফলক ছুঁতে লেগেছিল দুই মাস। ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ টিকটকের এই মাইলফলকে যেতে লেগেছিল ৯ মাস।
গত বুধবার অ্যাপল ও অ্যান্ড্রয়েড ভার্সনে থ্রেডস অ্যাপটি বিশ্বের ১০০টি দেশে প্রকাশ করা হয়। যদিও এটা এখনো ইউরোপের অনেক দেশ থেকে ডাউনলোড করা যাচ্ছে না। কারণ মেটা এখনো ইউরোপীয় ইউনিয়নের ডাটা পলিসি মেনে চলার বিষয়ে নিশ্চয়তা দিতে পারেনি।
বিশ্বজুড়ে টুইটারের ২০০ মিলিয়ন নিয়মিত ব্যবহারকারী রয়েছে। তবে ইলন মাস্কের অধীনে যাওয়ার পর থেকে এই অ্যাপটি নানা রকম জটিলতায় ভুগছে। অনেক কর্মীকে ছাটাই করা হয়েছে।
এ কারণেই অনেকেই টুইটারের বিকল্প খুঁজছিলেন। আর ঠিক সেই সুযোগ কাজে লাগিয়েই থ্রেডস নিয়ে হাজির হয়েছে মেটা। জুকারবার্গের বিরুদ্ধে থ্রেডস নিয়ে চুরি ও প্রতারণার অভিযোগ এনে আইনি লড়াইয়ে নামার ঘোষণাও দিয়েছেন মাস্ক।
আর সহজেই ইনস্টাগ্রামের সাথে লিংক করা যায় বলে থ্রেডস আরো বেশি গ্রাহকবান্ধব। অনলাইন ডাটা সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান কুইভার কোয়ান্টিটেটিভ জানিয়েছে গ্রিনিচ সময় সোমবার সকাল সাতটায় ১০০ মিলিয়ন ব্যবহারকারীর মাইলফলক ছুঁয়েছে থ্রেডস।
সূত্র: টিআরটি
Development by: webnewsdesign.com