চিনির দাম না বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে ভোক্তা অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ক্যাব। সংগঠনটি বলেছে, চিনিকল মালিকদের এই সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক, ভোক্তা স্বার্থবিরোধী। তাই মিল মালিকদের সিদ্ধান্ত কার্যকর না করার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছে তারা।
মঙ্গলবার ক্যাবের তথ্য কর্মকর্তা আনোয়ার পারভেজ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই দাবি জানানো হয়।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৯ জুন বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন চিনির দাম প্রতি কেজিতে সর্বোচ্চ ২৫ টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্তের কথা বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনকে জানিয়েছে, যা আগামী ২২ জুন থেকে কার্যকর হওয়ার কথা। চিনিকল মালিকদের এই সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক, ভোক্তা স্বার্থবিরোধী ও অন্যায় বলে মনে করে ক্যাব। এমন সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে ক্যাব। মিল মালিকদের এই ভোক্তা স্বার্থপরিপন্থি সিদ্ধান্ত কার্যকর না করার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছে ক্যাব।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বাজারে বর্তমানে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে। সরকার খুচরা বাজারে চিনি বিক্রির জন্য সর্বশেষ প্রতি কেজি খোলা চিনি ১২০ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনি ১২৫ টাকা নির্ধারণ করে। কিন্তু খুচরা বাজারে খোলা চিনি ১৩০ টাকা থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মিল মালিক ও ডিলারদের কারসাজিতে এখন প্যাকেটজাত চিনি খোলা বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না। এই অবস্থায় চিনিকল মালিকদের সংগঠনের এই অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। ক্যাব মনে করে, আসন্ন কুরবানি ঈদের আগে ভোক্তাদের বেশি দামে চিনি কিনতে বাধ্য করে বেশি মুনাফা লাভের উদ্দেশ্যে চিনিকল মালিক সংগঠনটি এই অযৌক্তিক ও অন্যায়, ভোক্তাস্বার্থপরিপন্থি সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ক্যাব বলছে, চিনির মূল্য নির্ধারণ করে সরকার। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, চিনিকল মালিক সংগঠনটি চিনির বাড়তি দাম নির্ধারণ করে তা নিজেরাই বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনকে কার্যকর করার তারিখ জানাচ্ছে। এই সিদ্ধান্ত কমিশনকে অগ্রাহ্য করার শামিল।
Development by: webnewsdesign.com