রাজধানীর সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় সন্তানের মৃত্যুর পর এবার না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন মা মাহবুবা রহমান আঁখি। রোববার দুপুরে আঁখির স্বামী ইয়াকুব আলী সুমন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, একটু আগে আঁখি মারা গেছে। ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেছেন। এর আগে সকালে তিনি আরও জানান, রোগীর কোনো ইমপ্রুভ হচ্ছে না; বরং অবনতির দিকে যাচ্ছে। হসপিটাল কর্তৃপক্ষ কোনো আশ্বাস দিয়েছে কিনা জানতে চাইলে সেই সময় তিনি বলেন, চিকিৎসক এখন পর্যন্ত কোনো আশ্বাস দেয়নি। তারা বলছেন, তারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, কিন্তু এখান থেকে কামব্যাক করা কঠিন। একমাত্র যদি আল্লাহ চান, তা হলেই সম্ভব।
ইয়াকুব আলী আরও বলেন, ব্লিডিং কিছুটা কমেছিল, কিন্তু শনিবার থেকে আবার বেড়ে গেছে। একই দিন আবার ৫ ব্যাগ রক্ত কালেকশন করে দিয়েছি। আজ দুপুর পর্যন্ত এগুলো চলবে। ডাক্তার আজকে আবার রোগীর পরিস্থিতি দেখে জানাবে।
গত ৯ জুন রাতের ঘটনা। মাহাবুবা রহমান আঁখির স্বামী ইয়াকুব আলী সুমন বারবার সেন্ট্রাল হসপিটাল কর্তৃপক্ষকে জিজ্ঞেস করছিলেন, আমার স্ত্রী কেমন আছে? আর ডা. সংযুক্তা সাহা কোথায়? কিন্তু ইয়াকুবের কোনো কথার উত্তর না দিয়ে তাকে এড়িয়ে যাচ্ছিল হসপিটাল কর্তৃপক্ষ। তারা বারবার ইয়াকুবকে বলছিলেন, আপনি ‘গেটের বাইরে অপেক্ষা করুন’। একপর্যায়ে একজন নার্স এসে ইয়াকুবকে জানান, আঁখির অবস্থা আশঙ্কাজনক। সে জন্য তাকে কাগজে সই দিতে হবে। সই না দিলে আঁখি ও তার নবজাতকের চিকিৎসা করবে না সেন্ট্রাল হসপিটাল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কাগজে সই দিয়েও স্ত্রী ও সন্তানের কোনো তথ্যই পাচ্ছিলেন না ইয়াকুব।
এ বিষয়ে শুরু থেকেই ইয়াকুবের সঙ্গে লুকোচুরি করছিলেন চিকিৎসকরা। একপর্যায়ে ইয়াকুবকে জানানো হয়, তার স্ত্রীর চিকিৎসা করা আর সেন্ট্রাল হসপিটালে সম্ভব নয়। তাকে অন্য হসপিটালে নিয়ে যেতে হবে। পরে স্ত্রীর জীবন বাঁচাতে শনিবার ধানমন্ডির ল্যাবএইড হসপিটালে আঁখিকে ভর্তি করান ইয়াকুব। এর পর সেন্ট্রাল হসপিটালে এসে জানতে পারেন তার নবজাতক হসপিটালের এনআইসিইউতে মারা গেছে।
Development by: webnewsdesign.com