চট্টগ্রামের পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম কমলেও তার প্রভাব পড়েনি খুচরা বাজারে। ফলে ভোক্তাদের বাড়তি দামেই কিনতে হচ্ছে পচনশীল এই পণ্য। খুচরা বিক্রেতাদের বক্তব্য, নতুন পেঁয়াজ এখনো সংগ্রহ করেননি তারা। তাই বাড়তি দরে আগে কেনা দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করছেন সামান্য লাভে।
গত তিনদিনে প্রায় ৬ লাখ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। এসব পেঁয়াজের কিছু অংশ বাজারে আসছে। খাতুনগঞ্জে কেজিপ্রতি পেঁয়াজের দাম কমেছে ৪০-৫০ টাকা। তবে খুচরা বাজারে দাম কমেছে কেজিপ্রতি মাত্র ২০-৩০ টাকা।
খাতুনগঞ্জের এইচ এ ট্রেডার্সের মালিক দেলোয়ার হোসেন বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়ার পর থেকে খাতুনগঞ্জে প্রতিদিনই কমছে পেঁয়াজের দাম। আমদানির কারণে দেশি পেঁয়াজের চাহিদা কমে গেছে। নগরের চকবাজার, কাজীর দেউড়ি, আন্দরকিল্লা, ষোলশহর এলাকার খুচরা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ৬০-৮০ টাকায়। এসব এলাকার ব্যবসায়ীরা বলছেন, বেশি দামে দেশি পেঁয়াজ কিনে কম দামে বিক্রি করা সম্ভব নয়। আবার গরমে পেঁয়াজ দ্রুত পচে যাচ্ছে। এর মধ্যে ভারতীয় পেঁয়াজ চলে আসায় তাদের লোকসান দিতে হচ্ছে। খুচরা বাজারগুলোতে আমদানি করা পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়লে দাম আরও কমে আসবে।
বাংলাদেশ ট্রেডিং করপোরেশনের (টিসিবি) তথ্যানুযায়ী, এপ্রিল মাসের শুরুতে চট্টগ্রামের বাজারে ৩০-৪০ টাকায় প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়। মে মাসে দাম বেড়ে দাঁড়ায় ৫০-৬০ টাকা। মে মাসের শেষ দিকে ৭০-৮০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়ে যায় এবং চলতি জুন মাসে দাম আরও বেড়ে দাঁড়ায় ৯০-১০০ টাকা।
জানা গেছে, ব্যবসায়ীদের ভারত থেকে আমদানি হওয়া পেঁয়াজের জন্য প্রতি কেজিতে সাড়ে তিন টাকা কর দিতে হয়। এর সঙ্গে পরিবহন, শ্রমিকসহ অন্যান্য খরচ যোগ করলে পেঁয়াজের দাম পড়ছে গড়ে ২০ টাকা। তবে পাইকারিতে চটের বস্তায় ভালো মানের ভারতীয় পেঁয়াজ ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৩ টাকা দরে।
হামিদ উল্লাহ মিয়ার বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইদ্রিচ আলী বলেন, আমদানি শুরু হওয়ার পর পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজিতে কমেছে ৩০-৪০ টাকা। তবে খুচরা বাজারে এখনও সেভাবে দাম কমেনি।
Development by: webnewsdesign.com