রাজশাহীর বাঘায় এক গৃহবধুর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের কারণে এক বছরের ব্যবধানে দুই দফা জরিমানা গুনেছেন শাহিন আলম নামে এক যুবক। সর্বশেষ গত রোববার (১৪ মে) রাতে স্থানীয় জনতার হাতেনাতে ধরে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের জিম্মায় দেন। এর পর গত সোমবার বিকেলে শালিস বৈঠকে গৃহবধুর ইজ্জতের মূল্য হিসাবে মাত্র ১৫ হাজার টাকা জরিমানা দিয়ে বিষয়টি রফা-দফা করা হয়। এর আগে গত বছর শাহিন ওই গৃহবধূর সঙ্গে পরোকীয়া করতে গিয়ে ধরা পড়ে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা গুনতে হয় তাকে।
এলাকাবাসীরা জানান, উপজেলার বাউসা এলাকার জনৈক গৃহবধুর (২৭) স্বামী নাটোর এলাকায় বোরো ধান কাটতে যান। এই সুযোগে শাহিন আলম (২৮) গত রোববার রাতে গৃহবধুর ঘরে যান । এ সময় গৃহবধু’র শ্বাশুড়ি তাদের আপত্তিকর অবস্থা দেখে বাহির থেকে ঘরের দরজা আটকিয়ে স্থানীয়দের ডেকে আনে। এরপর স্থানীয়রা তাদের ঘরে আটকে রেখে পরে রাতেই থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করে।
এ বিষয়ে ঔই গৃহবধু কোন অভিযোগ না করায় রোববার বিকালে বাউসা ইউপি চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ তুফান মুচলেকা দিয়ে উভয়কে ছাড়িয়ে এনে তাঁর কার্যালয়ে শালিস বৈঠককে বসেন। এ বৈঠকে শাহিন আলমের ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, এ ঘটনার এক বছর পূর্বে ওই গৃহবধুর সাথে অনৈতিক ঘটনার অভিযোগে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা দিয়েছেন শাহিন আলম। শালিসে জরিমানার বিষয়ে সত্যতা স্বীকার করে শাহিন আলম বলেন, এবারের জরিমানার ১৫ হাজার টাকা বর্তমান চেয়ারম্যানের নিকট জমা দেওয়া হয়েছে। আগের ৩০ হাজার টাকা সাবেক চেয়ারম্যানের নিকট জমা দিয়ে ছিলাম।
এ বিষয়ে বাউসা ইউপি চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ তুফান বলেন, ওসির দেওয়া দায়িত্বে শালিসি বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টি সমাঝোতা করা হয়েছে। গৃহবধুর স্বামীর সাথে কথা বলে সমাঝোতা করেছি। উক্ত শালিস বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইউপি সদস্য শাকিম , আশরাফ শাহ, রেজাউল করিম প্রমুখ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খায়রুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে গৃহবধু কোন অভিযোগ না করায় স্থানীয় ভাবে সমাঝোতার জন্য চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। চেয়ারম্যান বিষয়টি আপোশ করেছেন শুনেছি। তবে জরিমানার বিষয়ে জানা নেই ।
Development by: webnewsdesign.com