এমন একটা দৃশ্য চোখের সামনে ফুটে উঠবে কিংবা এর ছবি তোলা সম্ভব হবে তা ভাবাই যায় না। সঠিক সময়ে সঠিক অবস্থায় ছিলেন ফটোগ্রাফার। ছবিটা দেখলে মনে হবে, গগন ফুঁড়ে উঠছে শয়তান। যেন কোনো লাল শয়তানের দুটো শিং ভেসে উঠছে। গা হিম করা ছবি। কিন্তু প্রকৃতির এক অনন্য নিদর্শন। সূর্যটা দিগন্তে এমনভাবে ভেসে ওঠার দৃশ্যটা সত্যিই বিরল।
এটা আসলে সেই বিরল সূর্যগ্রহণের দৃশ্য। ডিসেম্বরের ২৬ তারিখে কাতারের আল ওয়াকরাহে ছিল ছুটির দিন। বিরল সূর্যগ্রহণের দৃশ্যকে ক্যামেরাবন্দি করতে সেখানে অনেক ফটোগ্রাফারের মতো ছিলেন ইলিয়াস চেজিওটিস। তার এ প্রতীক্ষা বিফলে যায়নি। দিগন্তে সাগর ফুঁড়ে যেন বেরিয়ে এলো ‘লাল শয়তানের দুই ভয়ালদর্শন শিং’। ভুল হয়নি ফটোগ্রাফারের। ধীরে ধীরে উঠতে থাকল সূর্য। একটা সময় বোঝা গেলো, ওটা সূর্য।
প্রকৃতির এই অনন্য কিংবা ভয়াল রূপ দেখে যেকেউ মুগ্ধ হয়ে যাবেন। এ ধরনের মরীচিকার মতো দৃশ্যকে বলা হয় ফাতা মরগানা। বায়ুস্তরের মধ্যে দিয়ে আলো প্রবাহের সময় বিচ্ছুরণ ঘটে এবং এমনটা হতে পারে, যেমনটা দেখা যাচ্ছে ছবিতে।
এমন দৃশ্যের নাম দেওয়া হয়েছে আর্থুরিয়ান কিংবদন্তি জাদুকরী মরগান লি ফে এর নামানুসারে। লোকগাথায় আছে, এমন মরীচিকাময় রূপকথার প্রাসাদ তৈরি করতো সেই জাদুকরী, যা কিনা নাবিকদের পথ ভুলিয়ে নিয়ে আসে মৃত্যুর দিকে।
ইলিয়াস জানান, এমন দৃশ্য দেখে মনে ভয় জাগে যে এই সূর্যগ্রহণে যা জানি কি ঘটে যায়। কিন্তু কিছু ঘটেনি।
Development by: webnewsdesign.com