সিলেট থান্ডারে ছিলো অভ্যন্তরীণ কোন্দল

বুধবার, ০৮ জানুয়ারি ২০২০ | ৪:৪৫ অপরাহ্ণ

সিলেট থান্ডারে ছিলো অভ্যন্তরীণ কোন্দল
apps

টুর্নামেন্ট থেকে সবার আগে বিদায় নিয়েছে সিলেট। এবারই প্রথম এমন হয়েছে বিপিএলে। পুরো মৌসুমে কোনো দল ম্যাচ জিতেছে মাত্র একটি! আর সেই দলটি সিলেট থান্ডার। বঙ্গবন্ধু বিপিএলে একটি মাত্র জয় নিয়ে এরই মধ্যে টুর্নামেন্ট শেষ করেছে তারা। এমন হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পেছনে দায়ী করা হচ্ছে অভ্যন্তরীণ কোন্দলকেই।

মঙ্গলবার নিজেদের শেষ ম্যাচটি হেরে ১২ ম্যাচে ২ পয়েন্ট অর্জন করতে পেরেছে সিলেট। মূলত টিম ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করা তানজিল চৌধুরীর বেফাঁস মন্তব্য থেকেই ধীরে ধীরে ক্রিকেটারদের মনে অসন্তোষ দানা বাঁধতে শুরু করে।
পরবর্তী সময়ে সিলেট থান্ডারের ড্রেসিংরুমে নানা মতপার্থক্য তৈরি হতে থাকে। শুরুতে বিপিএলের প্রথম ম্যাচে ক্রিশমার সান্তোকির দুটি ডেলিভারি নিয়ে উঠে বিতর্কের ঝড়। ক্রিজের প্রায় বাইরে পড়া ‘ওয়াইড’ ও দুই বল পর বোলিং সীমানার কয়েক ইঞ্চি বেরিয়ে ‘নো বল’ করে জন্ম দিয়েছেন নানা প্রশ্নের। ওই ঘটনার পর পরই বিষয়টি তদন্ত করে দেখতে বিসিবিকে অনুরোধ জানিয়েছিলেন, সিলেট থান্ডারের টিম ডিরেক্টর তানজিল চৌধুরী।

সিলেটের টিম ডিরেক্টর হিসেবে তানজিল চৌধুরীকে নিযুক্ত করেছে বিসিবিই। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দলের নানা ইস্যু নিয়ে পোস্ট দিয়েছেন নানা সময়। অথচ টিম ডিরেক্টরের পাশাপাশি, তিনি বিসিবির পরিচালকও। তার এই কর্মকাণ্ড ক্রিকেটাররা সহজভাবে নিতে পারেননি। যার প্রভাব পড়ে ড্রেসিংরুমে। বিসিবির-দুর্নীতি দমন ইউনিট অবশ্য এই দুটো বলে কোন খারাপ উদ্দেশ্য খুঁজে পায়নি। তদন্ত শেষে এমনটাই জানিয়েছেন তারা।
ওই ঘটনা ছাড়াও কোচ, ক্রিকেটারদের দ্বন্দ্বও ছিল উল্লেখ করার মতো। অর্থাৎ বিপিএলের প্রথম দিন থেকেই টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে খেলোয়াড়দের নানা বিষয় নিয়ে বিরোধ দেখা দেয়। ফলে মাঠের পারফরম্যান্সে এর প্রভাব পড়ে।
এসবের পর থেকে সন্দেহের তালিকায় ছিল সিলেট থান্ডার। বেশিরভাগ ম্যাচে একাদশ নির্বাচন ও বোলিং পরিবর্তনের ক্ষেত্রে নানামুখী প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে তারা। মাঝে মাঝে টিভি ধারাভাষ্যকাররা বিস্ময়কর মন্তব্যও করেছেন।
সম্প্রতি সবচেয়ে বড় ঘটনাটি ঘটিয়েছেন সিলেট থান্ডারের অধিনায়ক খোদ আন্দ্রে ফ্লেচার। দলের অভ্যন্তরীণ ঘটনা সম্পর্কে অভিযোগ করার অভিপ্রায় নিয়ে সাক্ষাৎ করেছেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দীন চৌধুরীর সঙ্গে। বিষয়টি অন্য ক্রিকেটাররা ভালোভাবে নেননি। ফলে অসন্তোষ চূড়ান্ত মাত্রায় দানা বাঁধে ড্রেসিংরুমে।
বিশেষ করে মোসাদ্দেক হোসেন চোটের কারণে ছিটকে যাওয়ার পর দলের দায়িত্ব পান ফ্লেচার। ওই সময় থেকেই তিনি মনে করছিলেন অনেক কিছুই সঠিকভাবে চলছে না দলে। বিষয়গুলি উর্ধ্বতন পর্যায়ে নিয়ে যেতে তিনি বিভিন্ন মাধ্যমে বোর্ড প্রধান নাজমুল হাসানের কাছে যাওয়ারও চেষ্টা করেছেন।

এসব ঘটনা যে ঘটেছে তার ইঙ্গিত মিলেছে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরীর কাছ থেকেই। বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করলেও তিনি বলেছেন ফ্লেচার তার পর্যবেক্ষণ জানিয়েছেন শুধু, ‘আন্দ্রে ফ্লেচার আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। আগামীতে বিপিএলে কীভাবে আরও উন্নতি করা যায়, কীভাবে সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো যায়- এ ব্যাপারে তিনি তার অভিজ্ঞতা ও পর্যবেক্ষণ জানিয়েছেন।’

Development by: webnewsdesign.com