এলোমেলো জীবনটা হোক একটু গোছানো

সোমবার, ০৬ জানুয়ারি ২০২০ | ১:৫৯ অপরাহ্ণ

এলোমেলো জীবনটা হোক একটু গোছানো
apps

নতুন করে জীবনকে সাজানোর জন্য ইতোমধ্যেই অনেক পরিকল্পনা সাজিয়েছেন অনেকে। আগামী বছর নিজের সুস্থতা নিয়ে কি কিছু ভেবেছেন আপনি? নিজে যদি ফিট না থাকেন, সুস্থ না থাকেন তবে কিন্তু ইচ্ছে থাকলেও কিছুই করতে পারবেন না।

গোছানো ডায়েটে চলুন সারা বছর

এ বছর ইচ্ছা থাকলেও খাওয়া দাওয়ায় যথেষ্ট অনিয়ম করেছেন, দাওয়াত বা পার্টিতে গিয়েও খেয়েছেন খুব বেশি কিংবা নিজের জন্য ক্ষতিকর জেনেও খেয়েছেন অস্বাস্থ্যকর খাবার। ২০২০ এসব বাদ দিয়ে গোছানো ডায়েট মেনে চলুন।

কোন খাবারগুলো আপনার জন্য আর কোনগুলো খারাপ তা এখনই চার্ট করুন। ঠিক করে ফেলুন কোন খাবারগুলো খাবেন না নতুন বছরে। নিজের জন্য নিজে ডায়েট চার্ট ঠিক করতে না পারলে পুষ্টিবিদের সাহায্য নিন। উচ্চ ক্যালোরি ও ফ্যাটযুক্ত খাবার খাওয়া কমান। নতুন বছরে স্বাস্থ্যকর ও উপকারী খাবার গ্রহণের চেষ্টা করুন।

পানি পান করুন

পানির বিকল্প কেবলই পানি। নতুন বছরে প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই এক গ্লাস পানি পান করুন, এটি হজমশক্তি বৃদ্ধি করে। তাই বলে, অতিরিক্ত পানিও পান করা যাবে না। নতুন বছরে শপথ নিন, প্রতিদিন সঠিক ও পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করবেন। দৈনিক দুই থেকে আড়াই লিটার পানি পানের অভ্যাস করুন।

ধূমপান ছাড়ুন

সুস্থ থাকতে ধূমপান ছাড়ার বিকল্প নেই। নতুন বছরে নতুন করে জীবন শুরু করুন। ছেড়ে দিন ধূমপান বা মদ্যপানের বাজে অভ্যাস। একই রকম ক্ষতির অভ্যাস হলো টানা বসে কাজ করা। কাজের ফাঁকে প্রতি ৪০/৪৫ মিনিট পর উঠে দাঁড়ান ও একটু হাঁটুন।

শরীরচর্চা করুন নিয়মিত

শরীরচর্চা কিন্তু মোটা বা চিকন স্বাস্থ্যের ওপর নির্ভর করে না। সুস্থ থাকতে প্রত্যেকেরই উচিত নিয়মিত শরীরচর্চা করা। নতুন বছরে লিফট ছেড়ে সিঁড়ি দিয়ে চলাচল করুন, প্রতিদিন অন্তত পাঁচ মিনিট হাঁটুন, একটু হলেও দৌড়ানোর চেষ্টা করুন।

নিয়মিত ব্যায়াম করলে পেশি সচল থাকে। এটি হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। তাই ফিট থাকতে নতুন বছর ব্যায়াম করুন নিয়মিত।

ঘুমাতে হবে পর্যাপ্ত

এ বছর অনেক পার্টিতে গিয়েছেন, গভীর রাত অব্দি কাজ করেছেন, মোবাইল ঘেঁটেছেন। নতুন বছরে অভ্যাস বদলে ফেলুন। প্রতিদিন অন্তত ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমানোর অভ্যাস করুন। আমরা যখন বিশ্রাম নিই তখন শরীরের অঙ্গগুলো নতুন করে কাজ করার শক্তি ফিরে পায়।

অল্প ঘুমের কারণে বাড়ে হৃদরোগের ঝুঁকি। এটি স্ট্রেস, শরীর ব্যথা, বদহজম ও নিদ্রাহীনতার মতো শারীরিক সমস্যাও বাড়ায়।

মনের কথা শুনুন

অনেক তো করেছেন অন্যের জন্য, নতুন বছরটা না হয় নিজের জন্য সাজান। আপনার মন কী চায় তা শুনুন। নিজের অনুভূতি ও চাওয়াকে গুরুত্ব দিন নতুন বছরে। দুর্বলতাগুলো কাটিয়ে জেগে উঠুন আপন শক্তিতে। মন ভালো থাকলে, সুস্থ থাকবেন আপনিও।

তবে আর কী? দেরি না করে ঝটপট বসে পড়ুন নতুন বছরের খসড়া সাজাতে।

Development by: webnewsdesign.com