রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগ, জাপানের সোয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব ফার্মেসি বিভাগ এবং যুক্তরাষ্ট্রের পিটসবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে মানবদেহে আর্সেনিকের প্রভাব নিয়ে ত্রিদেশীয় গবেষণা চলছে। এ গবেষণা কার্যক্রমে জাপানের সোয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সেইইচিরো হিমেনো বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) থেকে রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ে অবস্থান করছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় জনসংযোগ প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, এ কর্মসূচিতে রাবির ফোকাল পয়েন্ট প্রাণরসায়ন ও অণুাণবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যপক খালেদ হোসেন সোয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও পিটসবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের সঙ্গে কাজ করেছেন। পরবর্তী পর্যায়ে পিটসবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বাংলাদেশ ও জাপান সফর করবেন। গবেষণায় অর্থায়ন করছে জাপানের অগ্রণী গবেষণা সংস্থা জাপান সোসাইটি ফর প্রমোশন অব সায়েন্স (জেএসপিএস)।
অধ্যাপক হিমেনা ও খালেদ হোসেন প্রায় ১৩ বছর ধরে মানবদেহে আর্সেনিকের প্রভাব, বিশেষ করে ক্যানসার, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ ও রক্তচাপ, বিভিন্ন চর্মরোগের সঙ্গে আর্সেনিকের সম্পর্ক নিয়ে গবেষণা করেছেন তারা।
এরই মধ্যে তাদের প্রায় ৩০টি গবেষণা প্রবন্ধ আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিভিন্ন জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। এসব প্রবন্ধে তারা বিভিন্ন দুরারোগ্য এবং প্রাণঘাতী রোগের সঙ্গে অনেক ক্ষেত্রেই আর্সেনিকের প্রভাব কাজ করে বলে তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ করেছেন।
ডায়াবেটিসের সঙ্গে মাংসপেশীর শক্তিহ্রাস ও ক্রমে তা ক্ষয় হয়ে যাওয়া এবং শরীরে চর্বি জমার ফলে সামগ্রিকভাবে অন্যান্য দুরারোগ্য অসুস্থতার সৃষ্টি হয় কি না সে বিষয়েও গবেষণা করছেন তারা।
গবেষণায় মাঠ পর্যায়ে ব্যবহারের জন্য মানবদেহে মাংসপেশী ও চর্বির পরিমাণ, শরীরের অংশবিশেষে মাংসপেশীর শক্তি এবং চর্বির পরিমাণ চিহ্নিত ও নির্ণয়ের জন্য দুটি যন্ত্র আনা হয়েছে। রাবির প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের সংশ্লিষ্ট গবেষণাগারেও যন্ত্র দুই ব্যবহার করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট গবেষণাগার পরিদর্শন করেন রাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার। সেখানে আর্সেনিকের প্রভাব সম্পর্কে এ গবেষণা যুগান্তকারী প্রভাব রাখবে বলে মন্তব্য করেন।
Development by: webnewsdesign.com