অভিনেত্রী জয়া আহসান এখন বাংলার সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত মুখ বলে প্রতিবেদন করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার।মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সংবাদমাধ্যমটিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জয়াকে এমন স্থান দেয় সংবাদমাধ্যমটি।
“কানন দেবী ছিলেন ১৪! সুচিত্রা সেন ২২! ঋতুপর্ণা ২১! কোয়েল ১৮! জয়া আহসান? বয়স ৪৭। তিনি নিজে অবশ্য বলছেন তার বয়স সাঁইত্রিশের একদিনও বেশি নয়! উইকিপিডিয়ার তথ্য ভুল! সর্বত্রই দেখা গিয়েছে তারকাদের উত্থান কুড়ির কোঠায়। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের প্রোমোশন হয়েছে তন্বী কিশোরী থেকে মা-মাসির রোলে। ব্যতিক্রম আছে। তারা ক্ষণজন্মা। যেমন, মেরিল স্ট্রিপ বা জেমস বন্ডের গোয়েন্দা প্রধান জুডি ডেনস সত্তর পেরিয়ে তারা পুনর্যৌবন লাভ করেছেন। জয়া ব্যতিক্রম! যা এত দিন অভাবনীয় ছিল এ বার তাই হয়েছে। ৪৭ অথবা (ওরফে) ৩৭ বছরের এক নারী এই মুহূর্তে বাংলার সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত মুখ।” এভাবেই প্রতিবেদন শুরু করে সংবাদমাধ্যমটি।
ওই প্রতিবেদনটি করতে গিয়ে প্রতিবেদক কথা বলেন অরিন্দম শীল ও কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো নামীদামী সব নির্মাতাদের সঙ্গে। তাদের মুখ থেকেও জয়া সম্পর্কে নিঃসৃত হয়েছে সব হৃদয়ছোঁয়া বিশেষণ।
জয়া-সৃজিতের মধ্যে এক সময় প্রেমের গুঞ্জন ছিল বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হলেও সৃজিত যে জয়ার প্রশংসা করেছেন সেই অংশটি বাদ দেয়া হয়নি। জয়া আহসান বাংলাদেশের ইন্ডাস্ট্রিকেও বদলে ফেলেছেন বলে লেখা হয় ওই প্রতিবেদনে।
সংবাদ মাধ্যমটিতে আইটি সেক্টরে চাকরি করেন এমন একজন দর্শকের মন্তব্য তুলে ধরা হয়। নীলিমেশ রায় নামের এই দর্শক বলেন, সপ্তাহে কম করে দুটো ছবি দেখি আমি। আমি রুক্মিণীর ছবির চেয়ে জয়ার ছবি দেখব। ওর স্ক্রিন প্রেজেন্সে মাধুর্য আর ডিগনিটি, দুটোই বেরিয়ে আসে। নিজেকে নিয়ে ছেলেখেলা করেন না। দেখলেই সম্মান করতে ইচ্ছে করে। আবার খুব আকর্ষণীয়। কখনও মনে হয়নি উনি ব্যক্তিজীবনে কেমন? ওর বয়স কত? এ সবে কিছু যায় আসে না!
সম্পূর্ণতা আনতে গিয়ে আনন্দবাজার যখন জয়ার মন্তব্য জানতে চায় তখন তিনি বলেন, আমি চাইলে সুন্দর সেজে গাছের তলায় দাঁড়িয়ে বহু ছবি করতে পারতাম। করিনি। তার জন্য টাকার লোভ, খ্যাতির লোভ সংবরণ করেছি। চেয়েছিলাম ‘আনকনভেনশনাল’ কিছু করতে। বাংলাদেশে, বিদেশে ‘দেবী’র সাফল্য বলে দিয়েছে ‘ক্রিটিক্যালি অ্যাক্লেমড’ ছবিও ‘জনপ্রিয়’ হতে পারে। আমি সেই রাস্তাটা তৈরি করেছি।
Development by: webnewsdesign.com