প্রায় প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়েছে রাজধানীর কাঁচাবাজারে। ১০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত দাম বাড়িয়ে দিয়েছে বিক্রেতারা। চাহিদা বেশি থাকায় বেড়ে গেছে গরু-খাসি-দেশি মুরগির দাম। স্বস্তি নেই মাছের বাজারেও। কিন্তু বাজারে কোনও পণ্যের ঘাটতিও নেই। তবুও দাম বাড়তি। এ কারণে ক্ষুব্ধ ক্রেতা-সাধারণ।
আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের মতোই ব্যবসায়ীদেরও পূর্বাভাস, বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে কাঁচাপণ্যের দাম আরও বাড়তে পারে।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) বৃষ্টিস্নাত রাজধানীর কারওয়ান বাজার। তাই ছুটির দিনেও কাঁচাবাজারে কম ক্রেতার উপস্থিতি। তবে বৈরী আবহাওয়ার কারণে ব্যাঘাত ঘটেনি সরবরাহে। তারপরও একদিনের ব্যবধানেই শীতকালীন সবজির দাম বেড়েছে ১০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত। বাড়তি এই দামে ক্ষুব্ধ ক্রেতারা।
আলী হোসেন নামে এক ক্রেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বললেন, দেশে কী চলছে বুঝতে পারছি না। সারা জীবন দেখে এলাম শীত মৌসুমে কাঁচাপণ্যের দাম অনেক কম থাকে। এখন দেখি তার উল্টো।
বেড়েছে পেঁয়াজের দরও। বিক্রেতারা বলছেন, মোকামে পেঁয়াজ নেই। তাই দেশি পেঁয়াজ এক রাতেই ৩০ টাকা বেড়ে পাইকারিতে কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৭০ টাকায়। আমদানি করা পেঁয়াজ মান ভেদে অতিরিক্ত ১০ থেকে ১২ টাকা বেড়ে মিলছে ৬০ টাকায়।
সোনিয়া বেগম নামে এক ক্রেতা জানালেন, কিছুদিন আগে দেশি পেঁয়াজ কিনেছিলাম ১৪০ টাকায়। আজ কিনলাম ১৮০ টাকায়। অথচ গত বছর এ সময় পেঁয়াজের দর ছিল ৬০-৭০ টাকায়।
মাছের বাজারে ক্রেতা কম থাকলেও আগের সপ্তাহের চেয়ে দাম কিছুটা বেশি। ৩০০টাকার নিচে কোনও মাছ পাওয়া যাচ্ছে। একেবারে সস্তার তেলাপিয়া-পাঙাস মিলছে ১৮০-২২০টাকায়।
মসলা জাতীয় পণ্যে দামের খুব একটা পরিবর্তন নেই। দাম বাড়ার প্রতিযোগিতায় কিছুটা স্বস্তি ছিল সয়াবিন তেলে। কিন্তু এখন সেটা ক্রমশ অস্বস্তি বাড়াচ্ছে। কয়েক দিন ধরে দাম বাড়তি দিকে। অথচ বিক্রেতারা তার কারণ জানাতে পারলেন না।
উৎসবের মৌসুমে চাহিদা বেশি থাকায় গরু-খাসি গোশতের দাম বাড়ানোর অভিযোগ করেছেন ক্রেতা। তবে কিছুটা কম ব্রয়লার মুরগির। ঠিক তার উল্টো লেয়ার ও দেশি মুরগির দাম। দিন দিন গরু-খাসি-দেশি মুরগি সাধারণ মানুষের হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে।
Development by: webnewsdesign.com