করোনার টিকা দিলেই মিলছে চকলেট। সাথে বেলুন, তাতে লেখা হ্যাপী বার্থডে। শিশুরা যেন আনন্দের সাথে টিকা দেয়, সেজন্যই এ উদ্যোগ। বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) মৌলভীবাজার শহরের আলী আমজাদ সরাকরি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় এমন চিত্র।
বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক পূর্ণা রায় ভৌমিক বলেন- ‘ছোট্ট শিশুরা যেন টিকা দিতে ভয় না পায় সেজন্য আমরা আনন্দমুখর পরিবেশ তৈরি করেছি। পুরো বিদ্যালয় জুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। টিকা দেওয়ার সাথে সাথে প্রত্যেককে একটা করে চকলেট দেওয়া হয়েছে। সাথে একটি রঙিন বেলুন। তাতে লেখা হ্যাপী বার্থডে।’
কেন হ্যাপী বার্থডে লেখা জানতে চাইলে পূর্ণা রায় ভৌমিক বলেন- ‘১৮ অক্টোবর ছিল বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠপুত্র মেধা, দুরন্তপনা ও নির্মলতার প্রতীক শেখ রাসেলের জন্মদিন। আজকের এই দিনে আমরা একসাথে সেই দিনটিও উদযাপন করলাম।’
পূর্ণা রায় ভৌমিক বলেন- ‘ভয়, কৌতুহল, স্নায়ুচাপ নিয়ে শিশুরা এসেছিলো টিকা দিতে। শেষ পর্যন্ত তারা আনন্দঘন পরিবেশে এবং উৎসবমুরতায় টিকা দিয়েছে।’
এদিকে মৌলভীবাজারে ৫ থেকে ১১ বছরের শিশুদের করোনা টিকাদান কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। বৃহস্পতিবার শহরের আলী আমজাদ সরাকরি প্রাথমিক বিদ্যালয়, টিলাবাড়ি সরাকরি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং টাউন কামিল মাদ্রাসায় প্রায় ১১৬৬ শিশুকে টিকা দেওয়া হয়।
এরমধ্যে আলী আমজাদ সরাকরি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৮২৯ জন, টিলাবাড়ি সরাকরি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২৩৭ জন এবং টাউন কামিল মাদ্রাসায় ১০০ জন শিশুকে টিকা দেওয়া হয়েছে।
গত ১২ অক্টোবর থেকে সারাদেশের সাথে মৌলভীবাজার জেলায় জেলায় ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের করোনার টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে।
এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন ডা. চৌধুরী জালাল উদ্দিন মুর্শেদ জানান- ২ লাখ ৯৮ হাজার শিশুকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। চলবে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত। জেলার ই্উনিয়ন পর্যায়ে টিকা কার্যক্রমের দিন-তারিখ ও ব্যবস্থাপনা করছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। সেভাবে টিকা দিচ্ছে স্বাস্থ্য বিভাগ।