বিদ্যুৎ সংকট কাটাতে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে সাড়ে তিন মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করেছে চট্টগ্রাম ইপিজেডের একটি গার্মেন্টস কারখানা। পাঁচ লাখ মার্কিন ডলার খরচে ৫০ হাজার বর্গফুটের ছাদের ওপর বসানো হয়েছে এক হাজার ৩০০ সোলার প্যানেল। আগামী মাসে প্রতিষ্ঠানটির আরও একটি ইউনিট থেকে সাড়ে ৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। সংকটের মুখে এই গার্মেন্টসের মতো বাংলাদেশের ইপিজেডের কারখানাগুলোতেও সোলার প্যানেলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদনের নির্দেশনা দিতে যাচ্ছে বেপজা।ছাদে বসানো সোলার প্যানেল থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ সরাসরি চলে আসছে কারখানায়।
সেই বিদ্যুতে পোশাক তৈরির মেশিনের পাশাপাশি চলছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থাও। প্যাসিফিক জিন্স গ্রুপের মালিকানাধীন চট্টগ্রাম ইপিজেডের ইউনিভার্সেল জিন্স গার্মেন্টেসে প্রতিদিন ৩৫ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে।আগে যার পুরোটাই আসত জাতীয় গ্রিড থেকে। সোমবার (৮ আগস্ট) বিকেল থেকে সাড়ে তিন মেগাওয়াট বিদ্যুতের জোগানদাতা হিসাবে যোগ দিয়েছে সোলার প্যানেল।এ বিষয়ে প্যাসিফিক জিন্স গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এতে প্রতি বছর আমরা ৭০০ টন কার্বন ডাইঅক্সাইড ইমোশন সেভ করতে পারব। এ ছাড়া সিগনিফিকেন্ট ডিজিটাল প্রিপেইড অনুযায়ী আমরা বিদ্যুৎ বিল চেক করতে পারব।প্রথম পর্যায়ে জার্মান প্রযুক্তি ব্যবহার করে কারখানার পুরো ছাদে বসানো হয়েছে এক হাজার ৩০০ সোলার প্যানেল। উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে সোলারের বিদ্যুৎ সরাসরি গ্রিডে যুক্ত হয়ে যাবে। সোলারে উৎপাদিত বিদ্যুৎ আগে ব্যবহার হবে, পরে প্রয়োজন হলে জাতীয় গ্রিডের বিদ্যুৎ যুক্ত হবে।
২০ বছরমেয়াদি এ প্রকল্পে ৫ লাখ মার্কিন ডলার খরচ হলেও চার বছরের মধ্যে তা তুলে আনার লক্ষ্যমাত্রা প্রতিষ্ঠানটির।প্যাসিফিক জিন্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর বলেন, গ্যাস, এলএনজি এবং ডিজেল বেসড যে পাওয়ার প্লান্টগুলো আছে এটার পরিবর্তে আমরা যত বেশি সোলার প্ল্যান্টে স্থাপন করতে পারব, তত বেশি আমরা সাশ্রয় করতে পারব আমাদের মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা।বাংলাদেশে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ ৮টি ইপিজেডে কারখানা রয়েছে কয়েক হাজার। যার পুরো বিদ্যুতের জোগান দেয়া হয় জাতীয় গ্রিড থেকে। এ অবস্থায় চলমান বিদ্যুৎ সংকট কাটাতে আগামীতে ইপিজেডভিত্তিক সব কারখানায় সোলার প্যানেলের মাধ্যমে নিজস্ব বিদ্যুৎ ব্যবস্থা চালুর নির্দেশনা দিতে যাচ্ছে বেপজা নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আবুল কালাম মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান।শুধু এই একটি ইউনিটের মাধ্যমে যেমন বছরে ১ কোটি টাকার জ্বালানি বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে, তেমনি ৭০০ মেট্রিক টন কার্বন নিঃসরণ রোধ করা যাবে। চট্টগ্রাম ইপিজেডে প্রতিষ্ঠানটির ১০টি কারখানাতেই বর্তমানে সোলার প্যানেল স্থাপনের কাজ চলছে।
Development by: webnewsdesign.com