বাগেরহাট শিশু কল্যান বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (পাঠশালা)-এর সাবেক প্রধান শিক্ষক অসীম কুমার ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে পদ গ্রহনের অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যালয়ের সুনাম রক্ষার্থে অতিদ্রুত বহিস্কৃত এই প্রধান শিক্ষকের অপসারণের দাবিতে রবিবার দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক রহিমা খাতুন।
লিখিত বক্তব্যে সহকারি শিক্ষক রহিমা খাতুন বলেন,১নং কাড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ পরিচালিত শিশু কল্যান বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করতেন অসীম কুমার ভট্টাচার্য । কিন্তু বিদ্যালয়ের একজন অভিভাবকের অনৈতিক সর্ম্পকের কু-প্রস্তাব এর অভিযোগের ভিত্তিতে ২০২০ সালের ৩০ এপ্রিল তৎকালীন কাড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ বশিরুল ইসলাম তদন্তে সত্য প্রমান হওয়ায় ওই প্রধান শিক্ষক অসীম কুমার ভট্টাচার্যকে তার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেন। তারপর থেকে আমি (রহিমা খাতুন) ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছি। কিন্তু গেল ৩০ জুলাই হঠাৎ করে কাড়াপাড়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মুহিতুর রহমান পল্টন বহিস্কৃত প্রধান শিক্ষক অসীম কুমার ভট্টাচার্যকে প্রধান শিক্ষকের চেয়ারে বসিয়ে দেন।অসীম কুমার ভট্টাচার্য কোন প্রকার প্রত্যায়ন ছাড়াই আমার কাছ থেকে বিদ্যালয়ের সবল কাগজপত্র বুঝে নেন।
পরবর্তীতে অসীম কুমার ভট্টাচার্য আরও তিনজন লোক এনে তাদেরকে সহকারি শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে বলেন।এ বিষয়ে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির কোন সভা হয়নি। বিদ্যালয়ের সকল হিসাব,হাজিরা ও রেজিষ্ট্রার খাতা এখন অসীম কুমারের হেফাজতে রয়েছে। এসব নথি সরিয়ে আমাকে বিপদে ফেলার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া অভিযুক্ত ওই প্রধান শিক্ষককে পুর্বের দায়িত্ব প্রদান করায় অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। এই পরিস্থিতিতে বিদ্যালয় ও বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের স্বার্থে প্রধান শিক্ষককে অপসারণের দাবি জানান এই সহকারি শিক্ষক।প্রধান শিক্ষক অসীম কুমার ভট্টাচার্য বলেন,রমিহা খাতুনের করা সব ধরণের অভিযোগ সঠিক নয় । নিয়মকানুন মেনেই আমাকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে।
Development by: webnewsdesign.com