নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়ন, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়া এবং ঘরে ঘরে একজনের চাকরি নিশ্চিত করা আওয়ামী লীগের জন্য ‘বড় চ্যালেঞ্জ’ বলে মনে করছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল সোয়া ৯টায় আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দেয়ার পর তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথমে এবং পরে দলের সভাপতি হিসেবে নতুন কমিটির সদস্যদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, দলকে সরকার থেকে আলাদা করার কাজ চলছে। আওয়ামী লীগ মনে করে, দল শক্তিশালী হলে সরকারও শক্তিশালী হবে। বিএনপির নির্বাচনী সুষ্ঠু পরিবেশ নিয়ে অভিযোগ প্রসঙ্গে কাদের বলেন, অভিযোগ করাই হলো বিএনপির কাজ। সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু হবে-এটা জেনেও তারা অভিযোগ করছে।
ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নিয়েও কথা বলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ডিজিটাল যুগে ইভিএম ব্যবহারের যৌক্তিকতা রয়েছে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও অনেক বিতর্কের পরও নির্বাচন হয়েছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন দিয়ে।
উল্লেখ্য, গত ২০ ও ২১ ডিসেম্বর আওয়ামী ২১তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে সভাপতি পদে শেখ হাসিনা টানা নবম ও সাধারণ সম্পাদক পদে ওবায়দুল কাদের টানা দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত হন। পরে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বাকি ৭৯টি পদের মধ্যে ৪০ পদে নেতাদের নাম ঘোষণা করেন। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ আওয়ামী লীগের কার্যনিবার্হী সদস্য সংখ্যা ৮১। শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক, কোষাধ্যক্ষ, একজন সাংগঠনিক সম্পাদক ও তিনটি সদস্য পদ এখনও ফাঁকা রাখা হয়েছে। ঘোষিত কমিটিতে স্থান হয়নি বিগত কমিটির বেশ কয়েকজন নেতার। এছাড়া নবগঠিত কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন ৯ মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী।
Development by: webnewsdesign.com