জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের ওপর লোডশেডিং, এ যেন চা শিল্পের জন্য মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা। চলতি মৌসুমে ১০ কোটি কেজি উৎপাদনের লক্ষ্য নিয়ে তৈরি হয়েছে শঙ্কা। উৎপাদনে বাড়তি খরচে ন্যায্যমূল্য পাওয়া নিয়ে চিন্তিত ব্যবসায়ীরা।
চা পাতা মেশিনে দিয়ে চা উৎপাদনে কয়েক ধাপ পেরোনোর আগেই বন্ধ হয়ে যায় মেশিন। প্রতিদিন ৫ থেকে ৬ বার লোডশেডিংয়ের কারণে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎবিহীন চা বাগানের কারখানাগুলো সচল রাখতে জেনারেটর ব্যবহার করা হচ্ছে। তাতে প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা অতিরিক্ত গুনতে হচ্ছে সংশ্লিষ্টদের।এ বিষয়ে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের ক্লোনেল চা বাগানের ব্যবস্থাপক রনি ভৌমিক বলেন, আমরা যখন কারখানার মেশিন চালু করি, তারপর আর তা বন্ধ করার সুযোগ থাকে না।
যখন লোডশেডিং হয় সে সময় জেনেরেটর চালিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের ১০০ থেকে ১৫০ লিটার তেল ব্যবহার করতে হয়। এতে আমাদের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে।উৎপাদন প্রক্রিয়ায় কোনো প্রকার ব্যাঘাত চায়ের গুণগতমান নষ্ট করার বিষয়ে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল ব্রোকার্স লি. এর টি টেস্টার অ্যান্ড ব্লেন্ডার মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, চা তৈরির প্রক্রিয়ার মধ্যে যদি ব্যাঘাত হয় এবং সে সময়ের পরিমাণ যদি ১০ থেকে ১৫ মিনিট হয়, তাহলে চায়ের গুণগত মান একদম নষ্ট হয়ে যাবে।
একদিকে লোডশেডিং অন্যদিকে উৎপাদিত চায়ের মূল্য নিয়ে চিন্তিত ব্যবসায়ীরা। মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের অর্কিড টির মালিক আসমা ফারহানা বলেন, লোডশেডিং দীর্ঘ সময়ে জন্য হলে, বায়ার থেকে শুরু করে আমরা সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হব।উল্লেখ্য, দেশের ১৬৭টি চা বাগানে রেকর্ড পরিমাণ ৯ কোটি ৬৫ লাখ কেজি চা উৎপাদন হয়েছে। চলতি মৌসুমে ১০ কোটি কেজি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
Development by: webnewsdesign.com