গরমে পানি ও খাবারের বিষয়ে আমাদের সবাইকে সতর্ক হতে হবে। এ সময় পানিবাহিত রোগের প্রকোপ বেড়ে যায়। ইতোমধ্যে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ডায়রিয়া ও কলেরার প্রাদুর্ভাব এক দফা শেষ হয়েছে। ছোট-বড়, বয়স্ক সবারই পানিবাহিত।পানিবাহিত রোগ দেখা দিলে দ্রত হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে। পাশাপাশি খাবারের মধ্যেও কিছু বৈচিত্র্য আনতে হবে। একজন পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি সব ধরনের খাবার খেতে পারবে না। খাবার স্যালাইনের পাশাপাশি খাদ্যতালিকায় তরলজাতীয় খাবার, সহজে হজম হবে সে ধরনের খাবার রাখতে হব।
পানিবাহিত রোগে যেসব খাবার উপকারী
#. বিশুদ্ধ পানি দিয়ে খাবার স্যালাইন তৈরি করতে হবে এবং ঘন ঘন সেটি খেতে হবে।
#. জাউ ভাত, ভাতের মাড়, চিকেন ও ডিমের স্যুপ খেতে পারেন।
#. কাঁচ কলা, কাঁচা পেঁপে এবং করলা ভর্তা ও তরকারি খাওয়া যাবে হালকা মসলা দিয়ে।
#. ভেজানো চিড়ার সাথে সামান্য গুড় দিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
#. ডাবের পানি, আঙুর, বেদানা, আখ, মালটা, লেবু ইত্যাদির জুস খাওয়া যাবে।
#. নরম ভাতের সঙ্গে এক চিমটি হলুদ, খুবই অল্প পরিমাণে সরিষার তেল ও একটু লবণ মেখে খাওয়া যাবে।
#. সুজির খিচুড়ি খাওয়া যাবে।
খেয়াল রাখতে হবে যে বিষয়গুলো
#. খাবারের পানি বিশুদ্ধ হতে হবে, টয়লেটের পর বারবার সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে। সেনিটাইজার ব্যবহার করতে হবে।
#. মসলাদার খাবার, তেলজাতীয় খাবার খাওয়া যাবে না।
#. ফাস্টফুড, রাস্তার পাশের খাবার, ট্রান্স ফ্যাটজাতীয় খাবার ইত্যাদি খাওয়া বাদ দিতে হবে।
#. পানি ফুটিয়ে ফিল্টার করে নিয়ে খেতে হবে।
#. পরিবারের পরিণত সদস্যদের সচেতন হতে হবে এবং সবার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রেখে চলতে হবে, বিশেষ করে শিশুদের।
Development by: webnewsdesign.com