সারা দেশে কোরবানির পশুর চামড়ার ক্রেতা না পাওয়ায় অনেকে চামড়া বিক্রি করতে না পেরে ফেলে দিয়েছে। কোথাও কোথাও চামড়া বিক্রি হয়েছে পানির দরে। আবার কেউ কেউ আশানুরূপ দাম না পেয়ে চামড়া দান করে দিয়েছেন, কেউ ফেলে দিয়েছেন।
ঈদুল আজহার দিন সিলেটে বড় আকারের গরুর চামড়া ৪৫০ ও ছোট গরুর চামড়া ২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ছাগলের চামড়া বিক্রি হয়েছে ৪০ টাকায়। বিকেলের পর থেকে গরুর চামড়া ২০০ টাকার কম দামে বিক্রি হয়েছে। ফেনী জেলায় গরুর চামড়া বিক্রি হয়েছে ১০০ থেকে ৩০০ টাকা দরে।
দিনাজপুরের কোরবানির ছাগলের চামড়া সংগ্রহের পর ন্যায্য দাম না পেয়ে ভাগাড়ে ফেলে দিয়েছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। সেখান থেকে নির্ধারিত ডাম্পিং স্টেশনে ফেলতে দেখা গেছে চামড়া। কেউ কেউ চামড়া মাটিতে পুঁতে ফেলেছেন। ময়মনসিংহে খাসির চামড়া বিক্রি হয়েছে মাত্র ২০ টাকায়। উপযুক্ত দাম না পেয়ে অনেকে চামড়া দান করে দিয়েছেন।
সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে ঢাকায় লবণযুক্ত চামড়া প্রতি বর্গফুট ৪৭ থেকে ৫২ টাকা, ঢাকার বাইরে ৪০ থেকে ৪৪ টাকা; সারা দেশে লবণযুক্ত খাসির চামড়ার প্রতি বর্গফুট ১৮ থেকে ২০ টাকা এবং ছাগলের চামড়ার দর প্রতি বর্গফুট ১২ থেকে ১৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়। বেঁধে দেওয়া দরে কোথাও চামড়া বিক্রি হচ্ছে না। স্থান ও গরুর আকার ভেদে দেশের বিভিন্ন স্থানে চামড়া বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ৬০০ টাকা দরে। তবে ছাগলের চামড়ার ক্রেতা একেবারেই কম। অনেক বিক্রেতা অভিযোগ করে বলেছেন, ১০ টাকাতেও ছাগলের চামড়া বিক্রি করতে পারেননি।
Development by: webnewsdesign.com