সংস্কারের অভাবে পড়ে আছে রেলের দেড় হাজার কোটি টাকার ৪৬টি ইঞ্জিন 

বৃহস্পতিবার, ১৯ মে ২০২২ | ১১:৩৮ পূর্বাহ্ণ

সংস্কারের অভাবে পড়ে আছে রেলের দেড় হাজার কোটি টাকার ৪৬টি ইঞ্জিন 
apps

রেলের ৫০ শতাংশ লাইন ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় চালানো যাচ্ছে না দেড় হাজার কোটি টাকা দিয়ে কেনা ৪৬টি ইঞ্জিন। ঘণ্টায় ২৪০ কিলোমিটার বেগে চলার কথা থাকলেও বাকি লাইন দিয়ে চলছে ৭০ কিলোমিটারে।

লাইন সংস্কারের আগেই ইঞ্জিন কেনাকে অপরিকল্পিত বলছেন যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা। লাইন সংস্কারে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানিয়েছে রেলওয়ে।

রেলের দীর্ঘদিনের ইঞ্জিন সংকট কাটাতে নেওয়া হয় বেশ কয়েকটি প্রকল্প। এর মধ্যে তিনটি প্রকল্পের আওতায় প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকায় সম্প্রতি কোরিয়া আর যুক্তরাষ্ট্র থেকে আনা হয় ৪৬টি উচ্চগতির আধুনিক ইঞ্জিন। এর মধ্যে ৩০টি মিটার গেজ আর ১৬টি ব্রডগেজ।

ট্রেনচালকরা বলছেন, নতুন ইঞ্জিন পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলের মাত্র কয়েকটি রুটে চলছে। বাকি রেললাইনগুলো খুবই নাজুক ও ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় এসব লাইনের উপর দিয়ে চালানোই যাচ্ছে না নতুন ইঞ্জিন।

ট্রেনের চালকরা বলেন, আখাউড়া থেকে সিলেট আর জয়দেব থেকে ময়মনসিংহ, জামালপুর এসব লাইনে চালানো সম্ভব হচ্ছে না। আর ট্রেনের রাস্তায় যেসব ব্রিজ আছে সেগুলো এই ইঞ্জিনের ভারবহন করতে পারবে কি না, এটাও একটা বিষয়।

যেসব লাইনেওবা চলছে, সেখানেও ইঞ্জিনের মূল গতির ৬০-৭০ কিলোমিটার কমিয়ে চালানো হচ্ছে। মিটারগেজ ইঞ্জিনের গতি ১৪০ আর ব্রডগেজের গতি প্রতি ঘণ্টায় ২৪০ কিলোমিটার হলেও চালানো হচ্ছে মাত্র ৬০ কিংবা ৭০ কিলোমিটার গতিতে। ফলে কাঙ্ক্ষিত সুফল মিলছে না বলছেন ট্রেন চালকরা।

চালকরা আরও বলেন, কাগজে-কলমে সব জায়গায় ১৪০ স্পিড দেওয়ার কথা। কিন্তু আমরা ৮৫ স্পিডে লক করে দেই। এর বেশি স্পিড দিলে রাস্তায় লোকোমোটিভ আইডেল হয়ে যাবে। আর ধারণক্ষমতাই তো ১৪০ স্পিড না।রেললাইন সংস্কারের আগেই উচ্চগতির ইঞ্জিন কেনাকে পরিকল্পনাহীনতার চরম পর্যায় বলছেন যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা।

যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. শামসুল হক বলেন, দ্রুতগতিতে নিরবচ্ছিন্নভাবে চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় যে প্রকল্পগুলো দরকার সেটা করা হচ্ছে না।কর্তৃপক্ষের দাবি, তাদের টনক নড়ছে, নেওয়া হয়েছে লাইন সংস্কারের উদ্যোগ।

বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অবকাঠামো) কামরুল আহসান বলেন, আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি। আমাদের যদি কোথাও দুর্বলতা থাকে তাহলে আমরা এটা ঠিক করে ইঞ্জিন ট্রায়াল দিয়ে চলাচল করব।প্রতি বছর অন্তত ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয় রেললাইন রক্ষণাবেক্ষণে।

Development by: webnewsdesign.com