গবেষণায় নতুন তথ্য দিয়েছেন চীনের গবেষকরা। তারা বলছেন, বায়ুদূষণের কারণে শুক্রাণুর গুণগত মান এবং এর সংখ্যা ও গতিশীলতাকে প্রভাবিত করে। চীনে ৩০ হাজারের বেশি পুরুষের ওপর করা এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
জামা নেটওয়ার্কস নামের একটি জার্নালে গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয় বৃহস্পতিবার। এই গবেষণায় দাবি করা হয়, বায়ুদূষণের কারণে বাতাস যতটা খারাপ হয় ঠিক ততটাই খারাপ হয় পুরুষের শুক্রাণু।
এই গবেষণা বলছে, বায়ুদূষণের ক্ষেত্রে বড় কণার তুলনায় ছোট কণার কারণে বেশি সমস্যা হয়। তাই পুরুষদের অবশ্যই নিজের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই বায়ুদূষণ থেকে দূরে থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে এই গবেষকরা অনেক দিন ধরেই চেষ্টা করছেন, বায়ুদূষণের সঙ্গে শুক্রাণুর মান খারাপ হওয়ার যে সম্পর্ক রয়েছে তা প্রমাণ করার।
২০২১ সালের ডিসেম্বরে প্রকাশিত এই আন্তর্জাতিক সাহিত্য পর্যালোচনায় প্রস্তাব করা হয়েছিল বায়ুদূষণ সমগ্র জনসংখ্যার জন্য সাধারণভাবে উর্বরতা ক্ষমতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। গবেষণায় সাংহাইয়ের টংজি ইউনিভার্সিটির স্কুল অব মেডিসিনের গবেষকরা চীনের ৩৪০টি শহরের মোট ৩৩ হাজার ৮৭৬ জন পুরুষের ডেটা রেকর্ড দেখেছেন। এ ক্ষেত্রে এই পুরুষ মানুষদের গড় বয়স ছিল ৩৪ বছর। শহরগুলোর বায়ুদূষণের স্তর ছিল আলাদা আলাদা।
এই গবেষণায় দেখা যায়, বায়ুদূষণের ক্ষেত্রে যখন দূষিত কণা ২.৫ মাইক্রোমিটারের থেকে ছোট হয়, তখন শুক্রাণুর মান বেশি নেমে যায়। অপরদিকে ১০ মাইক্রোমিটারের চেয়ে বেশি বড় দূষণকণার ক্ষেত্রে এ সমস্যার আশঙ্কা অনেকটাই কম।
এ ক্ষেত্রে তারা বলেন, এই বায়ুকণা যতটা ছোট হয় মানুষের ফুসফুসের ভিতরে পৌঁছে যাওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই থাকে বেশি। এসব পুরুষের ওপর পর্যবেক্ষণ ও ডেটা সংগ্রহ চলছিল ২০১৩ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত।
ইউনিভার্সিটি অব শেভিল্ড-এর অ্যান্ড্রোলজির অধ্যাপক অ্যালেন পেসি বলেন, গবেষণাটি শুক্রাণুর গতিশীলতা হ্রাসের উল্লেখ করলেও এর রূপবিদ্যা, আকৃতি এবং আকার সম্পর্কে কোনো তথ্য দেয়নি।
সে কারণে প্রশ্ন তৈরি হয়, অন্য কোনো কারণে শুক্রাণুর গতি হ্রাস পেয়েছে কি-না। পর্যবেক্ষণে ১০ মাইক্রোমিটার ব্যাসের দূষণকণার সংস্পর্শে আসা ৩.৬ শতাংশ পুরুষের শুক্রাণুর গতিশীলতার হ্রাস পেয়েছিল ২.৪৪ শতাংশ।
Development by: webnewsdesign.com