র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, ‘সঠিক তথ্য পৌঁছাতে পারলে যুক্তরাষ্ট্র নিশ্চয়ই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করবে। তবে তার জন্য কিছু সময় লাগবে।’
বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে যুক্তরাষ্ট্রে বিএনপি-জামায়াত ও সরকারের লবিস্ট নিয়োগের প্রসঙ্গ নিয়ে ৩০০ বিধিতে দেওয়া বিবৃতিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
গত ২৩ জানুয়ারি সংসদ অধিবেশনে বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ ও জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক চুন্নু বিদেশে লবিস্ট নিয়োগের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য উপস্থাপনের দাবি জানিয়েছিলেন। এর প্রেক্ষাপটে আজ জাতীয় সংসদে ৩০০ বিধিতে এ বিষয়ে বক্তব্য দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
র্যাবের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে সরকার কাজ করছে উল্লেখ করে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আগামী মাসেই পার্টনারশিপ ডায়ালগের কাজ শুরু হবে। এরপর এপ্রিল মাসে সিকিউরিটি ডায়ালগ হবে।’ এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একাধিক বৈঠক আয়োজন করা হচ্ছে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রশ্ন এসেছে সরকার কোনো লবিস্ট নিয়োগ করেছিল কি না—এ বিষয়ে আমি বলতে চাই, আমরা লবিস্ট নিয়োগ করিনি। আমরা একটা পিআর ফার্ম নিয়োগ করেছিলাম। দুটির মধ্যে পার্থক্য হলো, একটি কংগ্রেস, সিনেট, ইউএস ডিপার্টমেন্টে গিয়ে লবি করে, তদবির করে। আমরা সে ধরনের কোনো প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করিনি।
বিএনপি-জামায়াত যুক্তরাষ্ট্রে মোট আটটি লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করেছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘২০১৪ সালে জামায়াত একটি ফার্ম নিয়োগ করে যুদ্ধাপারাধীদের বিচার বন্ধ করার জন্য। এজন্য তারা দেড় লাখ ডলার দেয়। বিচার বন্ধে তারা আরেকটি লবিস্ট অফার্ম নিয়োগ করেছিল। আর যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে প্রভাবিত করার জন্য পিস অ্যান্ড জাস্টিস নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ ৩২ হাজার ডলার দিয়ে নিয়োগ করে।’
Development by: webnewsdesign.com