সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সলুকাবাদ ইউনিয়নের চলতি নদীর ডানতীরে ফসল রক্ষা বাধেঁর কাজে ৩৪ নং পিআইসি কমিটিতে ৭নং ওয়ার্ডের প্রকৃত কৃষকদের অর্ন্তভূক্ত না করার প্রতিবাদে ও নতুন করে কমিটি গঠনের দাবীতে কৃষকদের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় হাওর এলাকার কালিপুর গ্রামের জমির মালিকগনের আয়োজনে চলতি নদীর ডানতীরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে দুই/তিন শতাধিক কৃষক অংশগ্রহন করেন। এ সময় বক্তব্য রাখেন,কালিপুর গ্রামের কৃষক মো. আতাউর রহমান,মো. সোলেমান মিয়া,মো. সাবেক ইউপি সদস্য শহিদুর রহমান, মো. চাঁন মিয়া,মো. জালাল উদ্দিন,ইউসুফ আলী,রেজাক মিয়া,মো. আব্দুর রহমান,আব্দুর রশিদ,কৃষক জামাল মিয়া ও রহমত আলী প্রমুখ।
কৃষকরা বলেন,আমাদের হাওর পাড়ের মানুষের একমাত্র জীবন জীবিকার অবলম্বন হলো এক ফসলি জমিন। কিন্তু এই সলুকাবাদ ইউনিয়নের ৭ং ওয়ার্ডের কালিপুর গ্রামের কৃষক হয়েও চলতি নদীর ডানতীরে ৩৪ নং পিআইসি কমিটিতে প্রকৃত কৃষকদের অর্ন্তভূক্ত না করে পাশের ৮নং ওয়ার্ডের সদস্যদের যাদের এই হাওরে জমি নেই অনিয়ম,র্দূনীতি ও স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে তাদেরকে কমিটিতে অর্ন্তভূক্ত করা হয়েছে। তারা এই কমিটি বাতিল করে বাধেঁর পাশে কালিপুর গ্রামের জমির প্রকৃত মালিকদের কমিটিতে স্থান দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্থানীয় প্রশাসনের উধর্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবী জানান।
এ ঘটনায় কালিপুর গ্রামের কৃষক মো. আতাউর রহমান ৩৪নং এই পিআইসি কমিটি বাতিলের জন্য গত ০৫ জানুয়ারী বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার,১২ জানুয়ারী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ও সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক বরাবরে আলাদা আলাদা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সাদিউর রহিম জাদিদ জানান,এই বাধেঁর পাশে যারা প্রকৃত কৃষক রয়েছেন উপজেলা বাচাই কমিটিতে যাচাই বাচাই করে তাদের অর্ন্তভূক্ত করা হয়েছে এবং এই কমিটিতে কালিপুর গ্রামের কিছু সদস্যকে রাখা হয়েছে। তিনি বলেন যারা এর বিরোধীতা করছেন তারা একটি স্বার্থান্বেষী মহল বলে উল্লেখ করেন তিনি।
Development by: webnewsdesign.com