ডা:মেহেদী যোগদানের ৪ মাসেই দেশ সেরার তালিকায় মহিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

বৃহস্পতিবার, ২০ জানুয়ারি ২০২২ | ২:০০ অপরাহ্ণ

ডা:মেহেদী যোগদানের ৪ মাসেই দেশ সেরার তালিকায় মহিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
apps

চিকিৎসা সেবার মান উন্নয়ন ও সার্বিক বিষয় জরীপে জয়পুরহাটের পাঁচবিবির মহিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এখন দেশ সেরার তালিকায় জায়গা পেয়েছেন। স্বাস্থ্য বিভাগের এ মাসের জরীপে দেশে ৪৮২টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মধ্যে সমান (৭৬.৬৪) নম্বর পেয়ে মহিপুরসহ ৭টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স যৌথ ভাবে প্রথম স্থান অর্জন করেন। পাঁচবিবি উপজেলার মহিপুর ৭ টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সঙ্গে যৌথ ভাবে প্রথম হলেও, কিন্ত রাজশাহী বিভাগে এককভাবে প্রথম। ইতিপূর্বে এ কমপ্লেক্সটি ২৮৩’তম এবং সর্বশেষ ১৩৩’তম পর্যন্ত অবস্থান করেছিল। ৫০ শয্যার এ হাসপাতালের ডাক্তার,নার্স ও অফিস কর্মচারীদের সার্বিক সহযোগিতায় উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সোলায়মান হোসেন মেহেদীর যোগদানের ৪ মাসে এই অর্জনে উপজেলাবাসী সকলেই খুশি।
সফলতার তথ্য অনুসন্ধ্যানে হাসপাতালের রেজিষ্টারে দেখা যায়, বিভিন্ন কারনে ও চিকিৎসা সেবার অভাবে পূর্বে যেখানে গড়ে প্রতিদিন ৫০ শয্যার এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৮ থেকে ১০ জন রোগী ভর্তি থাকতেন। জরুরী ও বহিঃবিভাগে প্রতিদিন সর্বোচ ২’শ রোগী প্রাথমিক সেবা নিতেন। চিকিৎসাক ও প্রয়োজনীয় ঔষধ না পেয়ে অনেক রুগীই অন্য জায়গায় চলে যেতেন। এখন হাসপাতালের জরুরী, বহিঃবিভাগ ও ভর্তিকৃত রোগীদের চিকিৎসার জন্য বাহির থেকে কোন প্রকার ঔষধ কিনতে হয়না। রোগীদের চিকিৎসার জন্য এখন হাসপাতাল থেকেই সকল প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা ও ঔষধপত্র দেওয়া হয়। এসব কারনে এখন গড়ে প্রতিদিন ১২০ থেকে ১৫০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি থাকে। জরুরী ও বহিঃবিভাগে প্রতিদিন গড়ে ৪’শ রোগী প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে আসেন।

সেবা নিতে আসা উপজেলার গলাকাটার মকলেছ বলেন, ভ্যান থেকে পরে আমার পা মচকে যায়। অনেক ঔষধ খেয়েছি ভালো হয়না ডাক্তার দেখে বলে প্ল্যাস্টার করতে হবে এতে সবমিলে ৭ হাজার টাকা প্রয়োজন। আমি গরীব মানুষ এত টাকা কোথায় পাব।পরে হাসপাতালের বড় ডাক্তারের কাছে আসি তিনি দেখে একটা কাগজ ধরিয়ে দিয়ে বলেন, আগামীকাল আসবেন। ঔষধের দোকান থেকে ২’শ ১০ টাকায় ৩ টা প্যাাষ্টার কিনে ডাক্তারকে দেই। তিনি আমার পা ব্যান্ডেজ করে দেয় এবং অনেকগুলো ঔষধ ও দিয়েছিল আজ ব্যান্ডেজ খুলে দিবে এজন্য এসেছি। পাঁচবিবি পৌর এলাকার দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী শিল্পী খাতুন সারা শরীরে ব্যাথা আরোগ্য লাভের আশায় বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছেন ডাক্তারও দেখিয়েছেন চিকিৎসাও নিয়েছেন এতে অনেক টাকা ব্যয়ও হয়েছে কাজের কাজ হয়নি। এই হাসপাতালের নতুন ডাক্তারের ভালো চিকিৎসার কথা অন্যের নিকট থেকে শুনে এসেছি।
এমন সফলতার বিষয়ে জানতে চাইলে পাঁচবিবি উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সোলায়মান হোসেন মেহেদী বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে সাধারনত গ্রামের অভাবী ও গরীব মানুষেরাই বেশী আসে। তারা তেমন জটিল রোগ নিয়ে নয় সাধারনত মাথাব্যাথা, সর্দি-জ্বর, কাশি, আমাশয় ইত্যাদি কারনেই আসে তাদের একটু প্রাথমিক চিকিৎসা সহযোগিতা ও ঔষধ প্রদান করলেই তাদের রোগ ভালো হয় খুশিও হয়। আমি নিজেকে কখনো ডাক্তার মনে করিনা রোগীর সেবকমনে করি এবং যতদিন এ পেশায় থাকব ততদিন রোগীর সেবা করেই যাব ।

Development by: webnewsdesign.com