উত্তরের জেলা দিনাজপুরসহ হাকিমপুর (হিলি) উপজেলায় মাঘের শুরু থেকে ঠান্ডা হিমেল বাতাস ও মৃদু শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। ঘন কুয়াশা ও হিমেল বাতাসে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। তীব্র শীতের কারণে শীত জনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা। বিপাকে পড়েছে সাধারণ মানুষসহ খেটে খাওয়া মানুষ। আজ সকালে দিনাজপুর জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
গত কয়েক দিন ধরে সকাল সাড়ে নয়টার আগে সূর্যের দেখা মিললেও আজ বেলা এগারোটায় সূর্যের দেখা মিলেছে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে সূর্যের তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও হিমেল বাতাসে শীতের তীব্রতা বাড়ছে। সন্ধ্যার পর বাজার-ঘাট ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে।
হিলি স্থলবন্দরের ট্রাক চালক মনিরুল ইসলাম বলেন, হঠাৎ করে দিনাজপুর জেলাসহ হিলি বন্দর এলাকায় শীতের তীব্রতা বেড়েছে। ঠান্ডা হিমেল বাতাসের কারণে বিপাকে পড়েছে এই এলাকার নিম্ন আয়ের মানুষ। সকালে ও সন্ধার পরে ঘন কুয়াশার কারণে অনেক সময়ে হেডলাইট জ্বালিয়ে গাড়ি চলাতে হচ্ছে।
ভ্যান চালক নির্মল রবিদাস বলেন, গরীব মানুষ সারাদিন ভ্যান চালিয়ে কোন রকমে সংসার চালায়। গত কয়েক দিন থেকে সকালে হিমেল বাতাসের কারণে তীব্র শীত উপেক্ষা করে জীবিকার তাগিদে ভ্যান নিয়ে বের হতে হচ্ছে। কিন্তু মানুষজন বাড়ি থেকে তেমন বের হচ্ছে না। তাই যাত্রী না পেয়ে আয় কমে গেছে।
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ তোফাজ্জল হোসেন জানান, বুধবার (১৯ জানুয়ারি) দিনাজপুর জেলায় সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আর্দ্রতা ৯৬ শতাংশ, বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৪ থেকে ৫ কিলোমিটার। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এটি উত্তর বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১০ কিলোমিটার গতিতে ধাবিত হতে পারে।
Development by: webnewsdesign.com