ভারতে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে নেওয়া হয়নি বাড়তি সতর্কতা। ভারত থেকে দেশে ফেরত আসা পাসপোর্টে আসা যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হলেও প্রতিদিন এই বন্দর দিয়ে আমদানি পণ্য নিয়ে শত শত ট্রাক চালকরা দেশে প্রবেশ করলেও করা হচ্ছে না তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা। একারণে ওমিক্রনের সংক্রমন ঢুকে পড়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
করোনার আরেক নতুন আতঙ্কের নাম ওমিক্রন। ভারতে এই সংক্রমনটি দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে। আর একারণে বাংলাদেশ ও ভারতের সঙ্গে এই বন্দরের মাধ্যমে সীমান্ত বাণিজ্য চালু থাকায় আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন হিলি স্থলবন্দরের মানুষেরা। সম্প্রতি ভারতে ওমিক্রনে মারাও গেছেন। বিশ্বে করোনা ছড়িয়ে পড়লে গত বছরের মার্চ মাস থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাসপোর্টে যাত্রী আসা-যাওয়া এবং সীমান্ত বানিজ্য বন্ধ করে দেয় সরকার। তবে ওই বছরের সেপ্টেম্বর থেকে সীমান্ত বানিজ্য চালু হলেও এর অনেক পরে ভারত থেকে বাংলাদেশে যাত্রী আসার অনুমতি দেওয়া হয়। এরফলে বর্তমানে প্রতিদিন এই পথে গড়ে ৫ থেকে ১০ জন পাসপোর্ট যাত্রী দেশে ফিরছে। ফলে বন্দরের অভ্যন্তরে ভারতীয় চালকদের সংস্পর্শে বাংলাদেশী চালক ও শ্রমিকরা আসায় ওমিক্রন সংক্রমনের ঝুকি তৈরি হচ্ছে।
হাকিমপুর হাসপাতালের, আবাসিক মেডিকেল অফিসার হুমায়ুন কবীর জানান, সরকারী নির্দেশনায় ভারত থেকে পাসপোর্টে দেশে ফেরা যাত্রীদের করোনা পরীক্ষা ও এনটিজেন টেষ্ট করা হচ্ছে। ভারতীয় ট্রাক চালকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার তেমন কোন ব্যবস্হা এখানে নেই। হিলি বন্দর দিয়ে দেশে ফেরা কোন যাত্রীর শরীরে করোনা বা ওমিক্রনের কোন সিমটম এখনও পাওয়া যায়নি।
Development by: webnewsdesign.com