বছরের শেষ কার্যদিবসে এসে শেয়ারদর বা লেনদেনে তেমন কোনো পরিবর্তন নেই। অনেকটাই নিরুত্তাপ শেয়ারবাজার। বৃহস্পতিবার লেনদেনের প্রথম দেড় ঘণ্টা শেষে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর বেড়ে কেনাবেচা হতে দেখা গেছে। তবে দরবৃদ্ধির হার কম থাকায় বাজার মূল্য সূচকে তার খুব বেশি প্রভাব ছিল না।
বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকার শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ১৯৪ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড দর বেড়ে কেনাবেচা হচ্ছিল। বিপরীতে দর হারিয়ে কেনাবেচা হতে দেখা গেছে ১১৫টিকে। দর অপরিবর্তিত অবস্থায় কেনাবেচা হচ্ছিল ৬৪ শেয়ারের।
এ সময় এ বাজারের প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ১৩ পয়েন্ট বেড়ে ৬৭৪৪ পয়েন্টে অবস্থান করছিল। অবশ্য আজকের লেনদেনের প্রথম ৪০ মিনিট শেষে বেলা ১০টা ৪০ মিনিটে সূচকটি গতকালের তুলনায় ৩১ পয়েন্ট বেড়ে ৬৭৬২ পয়েন্ট ছাড়িয়েছিল।
আজ লেনদেনের প্রথম দেড় ঘণ্টায় ডিএসইতে ১৮৭ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। লেনদেনে একক প্রাধান্য বিস্তার করেছিল বীমা খাত। লেনদেন হয়েছিল ৪৩ কোটি টাকার শেয়ার, যা মোট লেনদেনের পৌনে ২৪ শতাংশ। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা বিবিধ খাতের ২৯ কোটি টাকার লেনদেন ছিল মোটের ১৬ শতাংশ।
বাজার সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, বছরের শেষে এসে ব্যাংক খাতের শেয়ারে বিনিয়োগে পরিকল্পনা ছিল অনেকের। কিন্তু খেলাপি ঋণের বিপরীতে প্রভিশনিং ইস্যুতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নতুন যে নির্দেশনা দিয়েছে, তার ফলে ব্যাংকগুলোর মুনাফা বাড়বে না কমবে, সে বিষয়ে কেউ স্পষ্ট ধারণা করতে পারছে না। এ কারণে বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত গ্রহণে কিছুটা দ্বিধা আছে অনেক বিনিয়োগকারীদের মধ্যে।
খাতওয়ারি লেনদেন পর্যালোচনায় দেখা যায়, এ সময় শুধু ব্যাংক খাতের বেশিরভাগ শেয়ার দর হারিয়ে কেনাবেচা হচ্ছিল। খাতটির ৩২ কোম্পানির মধ্যে ১৬টিকে দর হারিয়ে কেনাবেচা হতে দেখা গেছে। বাকি ১৬টির মধ্যে ৮টি দর বেড়ে এবং ৮টি দর অপরিবর্তিত অবস্থায় কেনাবেচা হচ্ছিল।
এ সময় বীমা খাতের সিংহভাগ শেয়ার দর বেড়ে কেনাবেচা হচ্ছিল। ৫২ কোম্পানির মধ্যে ৪৮টিই দর বেড়ে কেনাবেচা হতে দেখা যায়। তবে দরবৃদ্ধির হার ছিল সীমিত।
অন্য বেশিরভাগ খাতের শেয়ারদর বেড়ে কেনাবেচা হলেও মিশ্রধারা ছিল ওষুধ ও রসায়ন এবং বস্ত্র খাতে।
Development by: webnewsdesign.com