রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে ভর্তি হওয়া নবীনদের নিয়ে পরিচিতিমূলক ক্লাস অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় পর্যন্ত সব আসনের বিপরীতে শিক্ষার্থী পায়নি বিশ্ববিদ্যালয়টি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অন্তত ৩৭৭টি আসনে এখনও কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি হননি। এর মধ্যে এ ইউনিটে ১২৭, বি ইউনিটে ৯৫ এবং সি ইউনিটে ১৫৫টি আসন ফাঁকা রয়েছে।
ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা গেছে, প্রত্যেক বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা আলাদাভাবে রজনীগন্ধা, গোলাপ, কলম, ফাইল দিয়ে বরণ করে নিচ্ছে নবীন শিক্ষার্থীদের।
বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের প্রথম দিনের অনুভূতি জানতে চাইলে লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী সুমাইয়া মিম বলে, করোনা সব কিছু ধংস করতে পারলেও আমাদের স্বপ্ন ধংস করতে পারেনি। যেমন ভেবেছিলাম তেমনই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়। অনেক সাজানো আর সুন্দর ক্যাম্পাস। এমন একটা ক্যাম্পাস পেয়ে আমি সত্যি উচ্ছ্বসিত আর গর্বিত।
খুলনা থেকে আসা নবীন শিক্ষার্থী তালিব বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম দিনের অনুভূতি অন্য রকম। ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। যেমনটি ভেবেছিলাম তার চেয়ে অনেক আনন্দের। আশা করি, বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের বাকি দিনগুলোও এভাবে সহপাঠী, বড় ভাই-বোনদের সঙ্গে আনন্দে কাটবে।
জামালপুর থেকে পড়তে আসা পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের এক নবীন শিক্ষার্থী বলেন, অনেক স্বপ্ন ছিল রাজশাহীতে পড়ব। আর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে এসে রাবি ক্যাম্পাসের সৌন্দর্যে আমি মুগ্ধ হই। তখন থেকেই রাজশাহীতে পড়ব বলেইনজেকে স্থির করি। এখন আমি নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি রাবির শিক্ষার্থী হতে পেরে।
ফাঁকা আসনের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ফজলুল হক বলেন, কলা অনুষদের বিভিন্ন বিভাগে অনেক আসন ফাঁকা রয়েছে। অনেকে ভর্তি বাতিল করছেন। অনেকেই বিভাগ পরিবর্তন করছেন। আশা করছি ১৫ জানুয়ারির মধ্যে সব শেষ হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ প্রশাসক ড. আজিজুর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে আজ প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু হয়েছে। শিক্ষার্থীদের তাদের বিভাগ থেকে দেওয়া রুটিন অনুযায়ী ক্লাস নেবে। তবে এখনও অনেকগুলো আসন খালি থাকা সাপেক্ষে আগামী বছরের ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ভর্তির কার্যক্রম চলমান থাকবে।
গত ৪-৬ অক্টোবর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ সেশনের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে পাস নম্বর নির্ধারিত ছিল ৪০। মোট তিনটি ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয় এক লাখ ২৭ হাজার ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী।
Development by: webnewsdesign.com