সেনবাগে দুই দিনের বাচ্চাকে কোলে নিয়ে এইচএসসি পরীক্ষার হলে ফারিয়া

বুধবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২১ | ৫:২০ অপরাহ্ণ

সেনবাগে দুই দিনের বাচ্চাকে কোলে নিয়ে এইচএসসি পরীক্ষার হলে ফারিয়া
apps

নোয়াখালীর সেনবাগে মাত্র দুই দিন আগে জন্ম নেয়া নবজাতককে নিয়ে কেন্দ্রে এইচএসসি পরীক্ষা দিতে আসলেন জান্নাতুল ফেরদৌস ফারিয়া নামের এক পরীক্ষার্থী।সে খুবই দুর্ভাগা এজন্য যে গত বছর তার বিয়ে হয়,বিয়ের পর পরই সে গর্ভবতী হয়।বিয়ের ৪ মাস পর করোনা আক্রান্ত হয়ে তার স্বামী আবু জাফর সালেহ্ মারা যায়।এর কিছু দিন পর তার পিতাও মারা যায়।

এত প্রতিকূলতার মাঝেও লেখাপড়া ছাড়েননি ফারিয়া।শোককে শক্তিতে পরিনত করে শত ঘাত-প্রতিঘাত সহ্য করে পেটে বাচ্চা নিয়ে নিয়মিত লেখা পড়া চালিয়ে এবার এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন ফারিয়া।গত ১২ ডিসেম্বর তার ডেলিভারী ডেট ছিল,রাতে প্রসব ব্যাথা উঠলে শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে দ্রুত চৌমুহনীর রাবেয়া হাসপাতালে নিয়ে যান,সেখানে ১৩ ডিসেম্বর নরমাল ডেলিভারিতে তার একটি ফুটফুটে কন্যা সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়,আর বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) দুই দিনের নবজাতক কন্যা শিশুকে কোলে নিয়ে মাকে সঙ্গে নিয়ে সেনবাগ সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে বায়োলজি পরীক্ষা দিতে আসলেন।ফারিয়ার মা তার নবজাতক শিশুকে নিয়ে অফিস কক্ষে বসে ছিলেন আর ফারিয়া পরীক্ষা হলে অন্যান্য শিক্ষার্থীদের সাথে হলে বসে পরীক্ষা দিয়েছেন।
দরিদ্র পরিবারের মেয়ে ফারিয়া পারিবারিক ভাবে অস্বচ্ছল হলেও তার মনোবল ছিল চাঙ্গা।

জান্নাতুল ফেরদৌস ফারিয়া সেনবাগ উপজেলার ৫নং ইউপির ইদিলপুর গ্রামের কুদ্দুস মেম্বারের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী।তার বাবার বাড়ি ৪নং ইউপির নজরপুর গ্রামে,তার পিতার নাম রাইজুল হোসেন।সে সেনবাগ সরকারি কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের মেধাবী ছাত্রী।পরীক্ষার হলে খবর সংগ্রহ করতে গেলে তার দুঃখের কাহিনী শুনে হল সুপার তার বাচ্চার জন্য কিছু টাকা উপহার দেন।মেয়েটি টাকা গুলো নিতে চাচ্ছিলেন না,এক পর্যায়ে জোর করে টাকা গুলো তার হাতের মুঠো দিলেন হল সুপার।

Development by: webnewsdesign.com