ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) কার্যক্রম নিরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। সংস্থাটি ডিমিউচুয়ালাইজেশনের বিধিবিধান মান্য হচ্ছে কি না, তা জানতে এ নিরীক্ষা করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি।
মঙ্গলবার বিএসইসির কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। জানা গেছে, প্রতিষ্ঠিত নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে এ নিরীক্ষা করানো হবে। নিরীক্ষক নিয়োগ দেবে বিএসইসি।
২০১৩ সালে স্টক এক্সচেঞ্জের মালিকানা থেকে ব্যবস্থাপনা পৃথক্করণ বা ডিমিউচুয়ালাইজেশন কার্যকর করা হলেও এখনো পুরোপুরিভাবে ডিমিউচুয়ালাইজেশন বাস্তবায়িত হয়নি। এ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে গত ৮ বছরে ডিমিউচুয়ালাইজেশন আইন অনুযায়ী সংস্থাটি পরিচালিত হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে এ নিরীক্ষার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বিএসইসি–সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র বলছে, মালিকানা থেকে ব্যবস্থাপনা আলাদা হওয়ার পর আইন করে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ ও পরিচালনা পর্ষদের কাজের সীমারেখা নির্দিষ্ট করা হয়েছে।
ডিমিউচুয়ালাইজেশন আইনে স্টক এক্সচেঞ্জ পরিচালনার ক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে অনেক বেশি ক্ষমতা দেয়া হয়। এটি করা হয়েছে স্টক এক্সচেঞ্জের ওপর পরিচালনা পর্ষদের, বিশেষ করে শেয়ারধারীদের প্রভাব কমাতে। কিন্তু বাস্তবে অনেক ক্ষেত্রে দৈনন্দিন নানা কাজেও পর্ষদের হস্তক্ষেপ রয়েছে। যে সিদ্ধান্ত ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ নিতে পারে, তেমন বিষয়ও পরিচালনা পর্ষদের সভায় তোলা হচ্ছে। তাই ডিএসইর বিগত বছরগুলোর সামগ্রিক কার্যক্রম নিরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বিএসইসি সূত্রে জানা যায় যত দ্রুত সম্ভব এ নিরীক্ষা কার্যক্রম শুরু করা হবে।
ডিমিউচুয়ালাইজেশন আইন অনুযায়ী, ডিএসইর ১৩ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যানসহ সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যই স্বতন্ত্র পরিচালক। শেয়ারধারী পরিচালকের সংখ্যা ৪। পর্ষদে স্বতন্ত্র পরিচালকেরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও পর্ষদে থাকা শেয়ারধারী পরিচালকদের প্রভাবই এখনো বেশি।
Development by: webnewsdesign.com