নানা সময় নানা ধরনের ডায়েট মেনটেন করে ওজন কমাতে চান সাধারণ মানুষ। ইন্টারনেট ঘেঁটে ডায়েট চার্ট বানানোর সময় সবার আগে তালিকা থেকে বাদ রাখা হয় ঘি। চিরাচরিত ধারণা অনুযায়ী, ঘি খেলেই মেদ জমে শরীরে। কারণ ঘি-এর মধ্যে রয়েছে স্যাচুরেটেড ফ্যাট। যা কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। যার কারণে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে একসঙ্গে।
অধিকাংশ মানুষের ধারণা, ঘি ভীষণ অস্বাস্থ্যকর একটি খাবার। রান্নায় স্বাদ বাড়ালেও, শরীরের বেজায় ক্ষতি করে ঘি। কিন্তু সাধারণ মানুষের এই চলতি ধারণাকে ভাঙলেন পুষ্টিবিদরা। তাঁদের মতে, ঘি-এর মধ্যে স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকলেও আরও বহু গুণাগুণ রয়েছে। যেমন?
১.শরীরে ভিটামিনের অভাব দূর করে ঘি। এর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ, ডি, ই, কে। এবং প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে।
২. ঘিয়ে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। যা স্মরণশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
৩. এটি একটি শর্ট চেইন ফ্যাটি অ্যাসিড। যা হজমশক্তি বাড়াতে ভীষণ উপকারী।
৪. এতে ট্রাইগ্লিসারাইড বর্তমান। যা পেটের অতিরিক্ত চর্বি কমাতে সাহায্য করে।
৫. ঘি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ফলে শীতকালে সর্দিকাশির সমস্যা থেকে চটজলদি রেহাই পাওয়া যায়।
৬. শরীরের অতিরিক্ত দূষিত পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে ঘি।
পুষ্টিবিদ অরিত্র খাঁ-র মতে, শরীরের চাহিদা অনুসারে রোজকার খাদ্যতালিকায় ঘি যুক্ত করলে উপকার পাবেন। কিন্তু বিনা এক্সারসাইজ এবং বডি মুভমেন্ট ছাড়া অতিরিক্ত পরিমাণে ঘি খেলে ক্ষতি হবেই। নিয়ম মেনে ঘি খেলে অতিরিক্ত মেদ ঝরে তাড়াতাড়ি ওজন কমানো সম্ভব। ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকলে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও কমে।
ঘিয়ের মধ্যে যে ফ্যাট রয়েছে, তা আসলে শরীরের জন্য উপকারী। সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য শরীরবৃত্তীয় নানা প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে ঘি। স্যাচুরেটেড ফ্যাট উপস্থিত থাকায় অনেকেরই ধারণা, হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা বাড়ায় ঘি। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী স্বাস্থ্যকর ডায়েট মেনে চললে ঘি খেলে ক্ষতির সম্ভাবনা কম।
সূত্র : আজকাল
Development by: webnewsdesign.com