শরীরের জন্য অক্সিজেন হচ্ছে অপরিহার্য একটি পুষ্টি। হাইপোক্সিয়া এবং টিস্যুর ক্ষতি প্রতিরোধ করার জন্য রক্তে ৯৪-৯৮ শতাংশ অক্সিজেন স্যাচুরেশন বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
শরীরে অক্সিজেন স্যাচুরেশন কম থাকলে তা হাঁপানি, ফুসফুসের ব্যাধি, কোভিড-১৯, ফাইব্রোমায়ালজিয়া ও হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের বেশি ঝুঁকিতে রাখে এবং অবস্থার অবনতি ঘটিয়ে বিভিন্ন জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।
তাই এমন জটিলতা এড়াতে অক্সিজেন-সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা খুবই সহায়ক হতে পারে। এ জন্য জানুন এমন ৬ খাবার সম্পর্কে, যেগুলো শরীরে অক্সিজেন স্যাচুরেশন বৃদ্ধি করতে সহায়তা করতে পারে—
১. ডালিম
ডালিম শরীরে অক্সিজেন স্যাচুরেশন বৃদ্ধি করতে সহায়ক হতে পারে। কারণ ডালিমের মধ্যে রয়েছে— আয়রন, কপার, জিঙ্ক, ভিটামিন বি৩, বি৬ ও কোলিন। এটি নাইট্রিক অক্সাইড জৈব বৃদ্ধি করে এবং অক্সিজেন ডেলিভারি বৃদ্ধি করে রক্তপ্রবাহ উন্নত করে।
২. খেজুর
খেজুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যসহ পলিফেনল সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি নিউরোডিজেনারেশন প্রতিরোধ করতে, থেরাপিউটিক প্রভাব প্রদান করতে ফ্রি র্যাডিক্যাল ক্ষতি এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে।
৩. বিটরুট
বিটরুটে প্রাকৃতিকভাবে নাইট্রিক অক্সাইড থাকে, যা রক্তনালীগুলোকে প্রসারিত করতে সাহায্য করে এবং টিস্যুতে অক্সিজেনযুক্ত রক্তপ্রবাহকে সক্ষম করে। এ ছাড়া বেশ কিছু গবেষণায় আরও দেখা যায় যে, বিটরুটের রস হাইপোক্সিয়া কমাতে সাহায্য করতে পারে। এ জন্য অক্সিজেন স্যাচুরেশন বৃদ্ধিতে আপনি বিটরুট জুস খেতে পারেন।
৪. গাজর
গাজর হচ্ছে ভিটামিন এ, বি৩, বি৫, বি৬, সি, কোলিন, পটাসিয়াম, আয়রন, জিঙ্ক এবং কপার সমৃদ্ধ। আর এটিতে ফাইটোকেমিক্যাল রয়েছে যা প্রদাহবিরোধী এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য সমৃদ্ধ, যা শরীরকে ডিটক্সিফাই করার জন্য এবং টিস্যুতে অক্সিজেন সরবরাহ বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে কাজ করে।
৫. মাশরুম
মাশরুম হচ্ছে খাদ্যতালিকাগত প্রোটিনের অন্যতম সেরা উৎস। এতে রয়েছে আয়রন, জিঙ্ক, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, কপার, ম্যাগনেসিয়াম, সেলেনিয়াম এবং ভিটামিন বি৩, বি৫, বি৬, সি ও ডি। এ ছাড়া মাশরুমে থাকা বিটা-গ্লুকানগুলোতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টিকোলেস্টেরোলিক (প্লাজমা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়) রয়েছে, যা স্নায়ুর ক্ষতি প্রতিরোধ করে।
৬. বাদাম ও সূর্যমুখী বীজ
বাদাম ও সূর্যমুখী বীজ হচ্ছে আয়রন, তামা, জিঙ্ক, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি৩, বি৫, বি৬, ই, প্রোটিন, খাদ্যতালিকাগত ফাইবার এবং পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিডের বড় উৎস। আর এই পুষ্টিগুলো অক্সিজেন প্রবাহ উন্নত করতে এবং অক্সিজেনযুক্ত রক্তকে হার্ট থেকে শরীরের অন্যান্য অংশে পরিবহন করতে সহায়তা করে। তাই এগুলো রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে, কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে, বিপাকীয় সিনড্রোমের ঝুঁকি কমাতে এবং ভাসকুলার কার্যকলাপকে বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে।
তথ্যসূত্র: স্টাইলক্রেজ ডটকম
Development by: webnewsdesign.com