লাকসামে ব্যাডমিন্টন খেলতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে হয়ে এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু 

সোমবার, ১৫ নভেম্বর ২০২১ | ৫:০৮ অপরাহ্ণ

লাকসামে ব্যাডমিন্টন খেলতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে হয়ে এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু 
apps

লাকসাম পশ্চিমগাঁও মিয়াপাড়ায় এলাকায় নিজ ভাড়া বাসার পাশে আরাফাত রহমান (১৪) নামে এক স্কুলছাত্র ব্যাডমিন্টন খেলতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে  মৃত্যুবরণ করেন।

ঘটনাটি ঘটেছে, (১৪ নভেম্বর) রবিবার  রাত সাড়ে ৯টার দিকে পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড  পশ্চিমগাঁও মিয়াপাড়ায়  এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত আরাফাত রহমান ‘আল আমিন ইনস্টিটিউট’ স্কুলের অষ্টম শ্রেণির একজন মেধাবী ছাত্র ছিলেন।

এদিকে স্কুলছাত্রের মৃত্যুর খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আরাফাত রহমান সন্ধ্যার আগে লাকসাম দৌলতগঞ্জ বাজার থেকে বিরিয়ানি এনে বন্ধুরা মিলে খান। এরপর সন্ধ্যা নামার কিছুক্ষণ পরে ভাড়া বাসার পাশে  ব্যাডমিন্টন খেলতে যায়।

ব্যাডমিন্টন কোর্টে আলো জ্বালানোর জন্য বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে গিয়ে সে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। স্থানীয়রা তৎক্ষণাৎ তাকে উদ্ধার করে লাকসাম বেসরকারি  হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় একাধিক সূত্রে আরো জানা যায়, আরাফাত রহমানের গ্রামের বাড়ি মনোহরগঞ্জ উপজেলার লক্ষনপুর ইউনিয়নে। পিতা বিদেশ যাওয়ার পর থেকে সহ পরিবার পশ্চিমগাঁও মিয়াপাড়ায় ভাড়া বাসায় ১০ বছর যাবত  অবস্থান করিতেছেন

তিনি ৪ বোন ১ ভাইয়ের মধ্যে আরাফাত সবার ছোট ছিলেন। করোনা মহামারীর শুরতে করোনা ভাইরাসে সংক্রামিত হয়ে সৌদি প্রবাসী আরাফাত রহমান এর পিতা ১ বছর আগে মৃতবরণ করেন।

এদিকে পিতা, দাদীর পরপর এবার অল্প বয়সে পরিবারের একমাত্র (অন্ধের যষ্টি) লাকসাম  আল-আমিন স্কুলের ৮ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র আরাফাত রহমান বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুবরণ করিলে পরিবার-আত্মীয়স্বজন,বন্ধুবান্ধবসহ সর্বজনে শোকের ছায়া নেমে আসে।

নিহত আরাফাত রহমান আত্মীয়-স্বজনরা আরো জানান,শীতকালে প্রায় সব এলাকাতেই ব্যাডমিন্টন খেলার আয়োজন করা হয়, এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা যেনো আর যাতে কোথাও না ঘটে, দয়া করে সবাই সর্বোচ্চ সাবধানতা অবলম্বন করুন। পাশাপাশি স্থানীয় প্রতিনিধিগনকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। জাতে অকালে আর কোন মায়ের বুক খালি না হয়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে লাকসাম থানার ওসি মেজবাহ উদ্দিন ভূইয়া বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি টিম যায়। কিন্তু সেখানে স্কুলছাত্রের লাশ ও স্বজনদেরকে  পাওয়া যায়নি। তবে শুনেছি নিহত ছাত্রের লাশ স্বজনরা তাদের গ্রামের বাড়ি মনোহরগঞ্জ উপজেলার লক্ষনপুর ইউনিয়নে নিয়েছেন।

Development by: webnewsdesign.com