অর্থবছর শেষে দেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) হবে ৬.৮ শতাংশ। অর্থবছর শেষে মুদ্রাস্ফীতি কিছুটা বেড়ে ৫ দশমিক ৮ শতাংশ হতে পারে, জিডিপির ঘাটতি হবে শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ। এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) আজ বুধবার একটি আউটলুক প্রকাশের মাধমে প্রবৃদ্ধি সংক্রান্ত এ পূর্বাভাস জানিয়েছে।
ম্যানুফ্যাকচারিং শক্তিশালীকরণ, বৈশ্বিক অর্থনীতিতে অব্যাহত সম্প্রসারণ এবং সরকারের কার্যকর পুনরুদ্ধারের নীতির ওপর ভিত্তি করে এই পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি। পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে,
এডিবি বাংলাদেশে তার কর্মসূচির অগ্রাধিকার পুনর্বিন্যাস করেছে। স্বাস্থ্য ও সামাজিক সুরক্ষা, দক্ষতা এবং গ্রামীণ উন্নয়ন, পানি ও স্যানিটেশন এবং অর্থখাতের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। ২০২০ সালের প্রথম দিকে কোভিড-১৯ মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে সামাজিক সুরক্ষা, কর্মসংস্থান, ভ্যাকসিন সংগ্রহ এবং জরুরি ব্যবস্থাপনার জন্য ১ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার অনুমোদিত হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ বলেন, জীবিকা রক্ষায় জীবন বাঁচানোর জন্য সরকারের নীতিগুলো দেশের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করেছে, যা সাম্প্রতিক কঠিন সময়ে প্রশংসনীয়। কঠিন এই সময়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখা বিশ্বের কয়েকটি দেশের মধ্যে একটি বাংলাদেশ। বিচক্ষণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা, প্রণোদনা এবং সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির দক্ষ বাস্তবায়ন বাংলাদেশকে এ অবস্থায় টিকে থাকতে সাহায্য করেছে।
তিনি আরও বলেন, কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য অব্যাহত প্রচেষ্টা, দ্রুত টিকা দেওয়া এবং অভ্যন্তরীণ সম্পদ সংগ্রহের উন্নতি পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়াকে আরও ত্বরান্বিত করবে।
Development by: webnewsdesign.com